উধাও হয়ে গেল আস্ত ট্রেন!রহস্যময় সুড়ঙ্গে ঢুকতেই সাদা ধোঁয়া,১০৪ জনের খোঁজ নেই আর
বিশ্বের সবথেকে রহস্যময় স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম হল বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। আসলে এই অঞ্চলের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী কয়েকটি বিমান নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। সেই ঘটনা গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। কিন্তু আজ আমরা এমন একটি রেলপথের কথা বলব, যা একই রকম ভাবে রহস্যের উদ্রেক করেছে। আসলে ওই রেলপথ অতিক্রম করার সময় রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল আস্ত একটি নতুন ট্রেন। এমনকী ১০৪ জন আরোহীর মধ্যে খোঁজ নেই ১০২ জন আরোহীর। তবে ওই ট্রেনের দুই যাত্রীর বেঁচে যাওয়া যেন আজও রহস্যই হয়ে রয়েছে! ১৯১১ সালে ইতালির রাজধানী রোমের একটি স্টেশন থেকে রওনা হওয়া ট্রেন ‘জেনেটি’ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তবে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেই ট্রেনের সন্ধান করা হলেও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই ট্রেনের বেঁচে যাওয়া দুই যাত্রীর বক্তব্যের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা অনেক তদন্ত করলেও এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তাঁরা সফল হতে পারেননি। ওই যাত্রীদের মধ্যে একজন জানান, ট্রেনটিকে একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে পরের স্টেশনে পৌঁছাতে হয়। কিন্তু সুড়ঙ্গে প্রবেশ করামাত্রই তা অদৃশ্য হয়ে যায়। কিন্তু কীভাবে বেঁচে গেলেন ওই দুই যাত্রী? আসলে ট্রেনটি রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার পর ট্রেনে ভ্রমণরত দুই যাত্রীকে সুড়ঙ্গের বাইরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। একজন যাত্রী এতটাই হতভম্ব হয়েছিলেন যে, তিনি কিছুই বলতে পারেননি। কিন্তু আর এক যাত্রী জানান, ট্রেনটি যখন সুড়ঙ্গের কাছে পৌঁছয়, তখন সেখান থেকে রহস্যময় ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এর পর দুই যাত্রীই ভয় পেয়ে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। তাঁদের বক্তব্য, ট্রেনটি সুড়ঙ্গের মধ্যে চলে গিয়েছিল এবং আর কখনওই বেরিয়ে আসেনি। ইতালির জেনেটি রেলওয়ে কোম্পানি ১৯১১ সালে একটি নতুন ট্রেন তৈরি করে। এর কোচ থেকে শুরু করে ইঞ্জিন সব কিছুই ছিল নতুন। এমনকী সংস্থাটি ট্রায়াল হিসাবে বিনামূল্যে ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। রেলকর্মী-সহ মোট ১০৪ জন যাত্রী ছিলেন। সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল ট্রেনটি। পরের স্টেশনে জেনিটি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। অথচ ট্রেন সেখানে পৌঁছয়ইনি। এরপর ওই ট্রেন নিয়ে সারা বিশ্বে নানা ধরনের গুজব ছড়াতে থাকে। কেউ কেউ বলেন, এই ট্রেন টাইম ট্রাভেল করে অন্য জগতে পৌঁছে গিয়েছে। আবার একই সময়ে কয়েক বছর পরে রাশিয়া, ইউক্রেন এবং জার্মানিতে এই ট্রেনের কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন অনেকে। যদিও এই সংক্রান্ত কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি। আবার ট্রেনটি মেক্সিকোয় ছিল বলেও দাবি করেছেন বেশ কয়েকজন। কারও কারও দাবি, ট্রেনটি তার সময়ের ৭১ বছর পিছিয়ে গিয়েছে। কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সুড়ঙ্গে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া ট্রেনটি ১৮৪০ সালে মেক্সিকোয় পৌঁছেছিল। সেই কারণে অনেকেই এই ট্রেনটিকে ভূতুড়ে ট্রেন বলেও আখ্যা দিয়েছেন। মেক্সিকোর এক চিকিৎসকের দাবি, ১০৪ জনকে রহস্যজনক ভাবে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সকলেই পাগল হয়ে গিয়েছিল। এক মহিলা দাবি করেছিলেন যে, তাঁরা সকলে ট্রেনে চেপেই হাসপাতালে পৌঁছেছেন। পরে অবশ্য ওই টানেলটিকে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
2024-04-24T08:18:16Z
দেশের সবথেকে দরিদ্র রাজ্য কোনটি জানেন? পশ্চিমবঙ্গের নাম কত নম্বরে রয়েছে বলুন তো!
দারিদ্র্য দূরীকরণে ভারতের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ। নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৩-২০১৪ সালে ২৯.১৭% থেকে ২০২২-২০২৩ সালে ১১.২৮%-এ নেমে এসেছে। এর মানে প্রায় ২৪.৮২ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। ভারতের রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির আয়ের স্তর MPI দ্বারা পরিমাপ করা হয়। সেই অনুযায়ী, দারিদ্র্য মোচনে ভারতের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া রাজ্য বিহার। ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্লোবাল ডেটা ল্যাব দ্বারা গণনা করা হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স (এইচডিআই) ডেটা বলেছে যে বিহার ২০২১ সালে ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে তালিকার একেবারে নীচে ছিল। বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের পরিমাপ তিনটি প্রধান ক্ষেত্রে ঘাটতি মূল্যায়ন করে, তা হল স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং জীবনযাত্রার মান। বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতে ২০১৯-২০২১ সালে দরিদ্র জনসংখ্যা সর্বাধিক ছিল। নীতি আয়োগ সমীক্ষার রিপোর্ট, ২০২২-২০২৩ সালে বিহার, মেঘালয় এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যগুলি রয়ে গিয়েছে তালিকায়, যেখানে সবথেকে বেশি সংখ্যক দরিদ্র রয়েছে। যদিও বিহার ২০১৯-২০২১ এবং ২০২২-২০২৩ সালের মধ্যে বহুমাত্রিক দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৭%। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিহারে ২০১৯-২০২১ সালে সর্বাধিক সংখ্যক (৩৩.৭৬%) মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে ছিল। ঝাড়খণ্ড ছিল তার পরেই, রাজ্যের জনসংখ্যার ২৮.৮১% দারিদ্রসীমার নীচে। দু’টির পরে, মেঘালয় ২৭.৭৯%, উত্তরপ্রদেশ ২২.৯৩% এবং মধ্যপ্রদেশে ২০%-এর একটু বেশি মানুষ এই সীমার নীচে। এই ডেটার দিকে নজর দিলে দেখা যায়, বিহারে ২০২২-২০২৩ সালে জনসংখ্যার ২৬.৫৯% দারিদ্রসীমার নীচে। ২০১৯-২০২১ সালে বিহারে যেই সংখ্যা ছিল ৩৩.৭৬%। ২০২২-২০২৩ সালে তার থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে। বিহারের পরে, মেঘালয় ২০২২-২০২৩ সালে দ্বিতীয় স্থানে, যা ২০১৯-২০২১ সালে তৃতীয় স্থানে ছিল। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে আগের বারের চেয়ে বহুমাত্রিক দরিদ্র জনগণের সংখ্যা কমেছে ২%। কিন্তু তালিকায় উপরে উঠেছে। ২০১৯-২০২১ সালে বহুমাত্রিক দরিদ্রের ভিত্তিতে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ঝাড়খণ্ড। ২০২২-২০২৩ সালে সেই রাজ্যের প্রায় ৫-৬% উন্নতি হয়েছে। দ্বিতীয় স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে এসেছে সেটি। এরপর তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, অসম, নাগাল্যান্ড, ছত্তিশগড়, ত্রিপুরা এবং ওড়িশা। তবে প্রথম টারটি রাজ্যের এই পরিস্থিতি আগেরবারের চেয়ে প্রায় ৫%-এর উন্নতি হয়েছে। ২০১৯-২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ ছিল তালিকার নীচের দিকে। ১৩ নম্বরে। জনসংখ্যার ১১.৮৯% ছিল দারিদ্রসীমার নীচে। ২০২২-২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী উন্নতি হয়েছে বাংলায়। তালিকায় ১৩ নং থেকে ১৪ নং-এ পৌঁছেছে। ১১.৮৯% থেকে ৮.৬০%-তেও নেমে গিয়েছে সংখ্যা।
2024-04-25T06:21:40Z
আশ্চর্য মুহূর্ত, গনগনে আঁচেও পড়ছে না সূর্যের ছায়া, বেঙ্গালুরুতে কেন এই কাণ্ড
মাথার উপর গনগনে সূর্য, অথচ পড়ছে না কোনও ছায়া! এমনই এক আশ্চর্য মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে চলেছে এই দেশেরই শহর বেঙ্গালুরু৷ দুপুর বারোটা সতেরো মিনিট থেকে বারোটা তেইশ মিনিট পর্যন্ত এই ঘটনা ঘটতে দেখা যাবে৷ এপ্রিলের ২৪ তারিখ, অর্থাৎ আজ, বুধবার এই ঘটনা কিছুক্ষণের জন্য ঘটবে, যা বিরল থেকে বিরলতম বলা চলে৷ প্রতি বছর মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ঘটনা ঘটতে দেখা যায়৷ এ বারেও তা দেখা যাচ্ছে নির্দিষ্ট দিনেই৷ তবে এই দিনটিই শুধু নয়, আরও মোট পাঁচটি দিন দেশের অন্য পাঁচটি শহরেও এই একই ঘটনা ঘটতে দেখা যাবে৷ এই ঘটনা ঘটবে কন্যাকুমারী, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, মুম্বই ও ভোপাল শহরে, তবে আলাদা আলাদা দিনে৷ এই বছরে প্রতিটি শহরেই দু’টি করে দিন এমন ঘটনা ঘটবে৷ বেঙ্গালুরু শহরটি দ্রাঘিমাংশ ১৩ ডিগ্রিতে অবস্থিত, এটিতে সাধারণত এপ্রিলের ২৪ ও ২৫ তারিখ ও অগাস্টের ১৮ তারিখে এই ঘটনা দেখা যায়৷ সারা দেশে ঘটনাটি ঘটে সাধারণত মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে৷ জিরো শ্যাডো ডে বলতে বোঝায়, যেদিন পৃথিবীপৃষ্ঠে সূর্যের আলোয় কোনও ছায়া পড়তে দেখা যাবে না৷ কারণ, পৃথিবী তার কক্ষপথে ২৩.৫ ডিগ্রি হেলে থাকবে, আর তাতেই সরাসরি এসে পড়বে সূর্যের আলো, যে কারণে ছায়া পড়বে না৷
2024-04-24T04:32:21Z