আশ্চর্য মুহূর্ত, গনগনে আঁচেও পড়ছে না সূর্যের ছায়া, বেঙ্গালুরুতে কেন এই কাণ্ড
মাথার উপর গনগনে সূর্য, অথচ পড়ছে না কোনও ছায়া! এমনই এক আশ্চর্য মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে চলেছে এই দেশেরই শহর বেঙ্গালুরু৷ দুপুর বারোটা সতেরো মিনিট থেকে বারোটা তেইশ মিনিট পর্যন্ত এই ঘটনা ঘটতে দেখা যাবে৷ এপ্রিলের ২৪ তারিখ, অর্থাৎ আজ, বুধবার এই ঘটনা কিছুক্ষণের জন্য ঘটবে, যা বিরল থেকে বিরলতম বলা চলে৷ প্রতি বছর মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ঘটনা ঘটতে দেখা যায়৷ এ বারেও তা দেখা যাচ্ছে নির্দিষ্ট দিনেই৷ তবে এই দিনটিই শুধু নয়, আরও মোট পাঁচটি দিন দেশের অন্য পাঁচটি শহরেও এই একই ঘটনা ঘটতে দেখা যাবে৷ এই ঘটনা ঘটবে কন্যাকুমারী, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, মুম্বই ও ভোপাল শহরে, তবে আলাদা আলাদা দিনে৷ এই বছরে প্রতিটি শহরেই দু’টি করে দিন এমন ঘটনা ঘটবে৷ বেঙ্গালুরু শহরটি দ্রাঘিমাংশ ১৩ ডিগ্রিতে অবস্থিত, এটিতে সাধারণত এপ্রিলের ২৪ ও ২৫ তারিখ ও অগাস্টের ১৮ তারিখে এই ঘটনা দেখা যায়৷ সারা দেশে ঘটনাটি ঘটে সাধারণত মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে৷ জিরো শ্যাডো ডে বলতে বোঝায়, যেদিন পৃথিবীপৃষ্ঠে সূর্যের আলোয় কোনও ছায়া পড়তে দেখা যাবে না৷ কারণ, পৃথিবী তার কক্ষপথে ২৩.৫ ডিগ্রি হেলে থাকবে, আর তাতেই সরাসরি এসে পড়বে সূর্যের আলো, যে কারণে ছায়া পড়বে না৷
2024-04-24T04:32:21Z
উধাও হয়ে গেল আস্ত ট্রেন!রহস্যময় সুড়ঙ্গে ঢুকতেই সাদা ধোঁয়া,১০৪ জনের খোঁজ নেই আর
বিশ্বের সবথেকে রহস্যময় স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম হল বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। আসলে এই অঞ্চলের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী কয়েকটি বিমান নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। সেই ঘটনা গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। কিন্তু আজ আমরা এমন একটি রেলপথের কথা বলব, যা একই রকম ভাবে রহস্যের উদ্রেক করেছে। আসলে ওই রেলপথ অতিক্রম করার সময় রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল আস্ত একটি নতুন ট্রেন। এমনকী ১০৪ জন আরোহীর মধ্যে খোঁজ নেই ১০২ জন আরোহীর। তবে ওই ট্রেনের দুই যাত্রীর বেঁচে যাওয়া যেন আজও রহস্যই হয়ে রয়েছে! ১৯১১ সালে ইতালির রাজধানী রোমের একটি স্টেশন থেকে রওনা হওয়া ট্রেন ‘জেনেটি’ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তবে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেই ট্রেনের সন্ধান করা হলেও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই ট্রেনের বেঁচে যাওয়া দুই যাত্রীর বক্তব্যের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা অনেক তদন্ত করলেও এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তাঁরা সফল হতে পারেননি। ওই যাত্রীদের মধ্যে একজন জানান, ট্রেনটিকে একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে পরের স্টেশনে পৌঁছাতে হয়। কিন্তু সুড়ঙ্গে প্রবেশ করামাত্রই তা অদৃশ্য হয়ে যায়। কিন্তু কীভাবে বেঁচে গেলেন ওই দুই যাত্রী? আসলে ট্রেনটি রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার পর ট্রেনে ভ্রমণরত দুই যাত্রীকে সুড়ঙ্গের বাইরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। একজন যাত্রী এতটাই হতভম্ব হয়েছিলেন যে, তিনি কিছুই বলতে পারেননি। কিন্তু আর এক যাত্রী জানান, ট্রেনটি যখন সুড়ঙ্গের কাছে পৌঁছয়, তখন সেখান থেকে রহস্যময় ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এর পর দুই যাত্রীই ভয় পেয়ে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। তাঁদের বক্তব্য, ট্রেনটি সুড়ঙ্গের মধ্যে চলে গিয়েছিল এবং আর কখনওই বেরিয়ে আসেনি। ইতালির জেনেটি রেলওয়ে কোম্পানি ১৯১১ সালে একটি নতুন ট্রেন তৈরি করে। এর কোচ থেকে শুরু করে ইঞ্জিন সব কিছুই ছিল নতুন। এমনকী সংস্থাটি ট্রায়াল হিসাবে বিনামূল্যে ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। রেলকর্মী-সহ মোট ১০৪ জন যাত্রী ছিলেন। সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল ট্রেনটি। পরের স্টেশনে জেনিটি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। অথচ ট্রেন সেখানে পৌঁছয়ইনি। এরপর ওই ট্রেন নিয়ে সারা বিশ্বে নানা ধরনের গুজব ছড়াতে থাকে। কেউ কেউ বলেন, এই ট্রেন টাইম ট্রাভেল করে অন্য জগতে পৌঁছে গিয়েছে। আবার একই সময়ে কয়েক বছর পরে রাশিয়া, ইউক্রেন এবং জার্মানিতে এই ট্রেনের কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন অনেকে। যদিও এই সংক্রান্ত কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি। আবার ট্রেনটি মেক্সিকোয় ছিল বলেও দাবি করেছেন বেশ কয়েকজন। কারও কারও দাবি, ট্রেনটি তার সময়ের ৭১ বছর পিছিয়ে গিয়েছে। কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সুড়ঙ্গে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া ট্রেনটি ১৮৪০ সালে মেক্সিকোয় পৌঁছেছিল। সেই কারণে অনেকেই এই ট্রেনটিকে ভূতুড়ে ট্রেন বলেও আখ্যা দিয়েছেন। মেক্সিকোর এক চিকিৎসকের দাবি, ১০৪ জনকে রহস্যজনক ভাবে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সকলেই পাগল হয়ে গিয়েছিল। এক মহিলা দাবি করেছিলেন যে, তাঁরা সকলে ট্রেনে চেপেই হাসপাতালে পৌঁছেছেন। পরে অবশ্য ওই টানেলটিকে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
2024-04-24T08:18:16Z
ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত...! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি কাঁপাবে ১৬ রাজ্য! কী হবে বাংলায়?
ঘূর্ণাবর্তের জের। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে চল্লিশ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। বৃষ্টি ও ঝড়ের সম্ভাবনা উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের বেশ কিছু অংশে। এমনটাই জানাচ্ছে IMD র আপডেট। আগামী কয়েকদিন সিকিম, অসম, মেঘালয় নাগাল্যান্ড মনিপুর মিজোরাম ত্রিপুরা এবং অরুণাচল প্রদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, উত্তর-সহ উত্তর-পশ্চিমের পার্বত্য এলাকায়। কোথাও তুষারপাত কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর-পশ্চিমের এই পার্বত্য এলাকায়। ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বিহার এবং অসম সংলগ্ন এলাকায়। বিহারের ঘূর্ণাবর্ত থেকে মনিপুর পর্যন্ত একটি পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা রয়েছে। যেটি উত্তরবঙ্গ, অসম এবং মেঘালয়ের উপর দিয়ে গিয়েছে। এছাড়া আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে বিদর্ভ থেকে কর্ণাটক পর্যন্ত। অন্যদিকে ওড়িশা ও সংলগ্ন এলাকায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের কিছু অংশে। গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কেরল, মাহে, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ইয়ানামে। কী হতে চলেছে বাংলায়? মৌসম ভবনের পূর্বাভাস বলছে চরম তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা আবহাওয়া দফতরের। শুক্র থেকে রবিবার দক্ষিণবঙ্গ দাবদাহে জ্বলবে। আজও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। কলকাতাতেও তাপপ্রবাহের আশঙ্কা। চরম গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গে ক্রমশ বাড়বে। শুক্রবার থেকে রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। পশ্চিমের জেলায় চরম ও তাপপ্রবাহের সতর্কবাণী।আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা, প্রয়োজন ছাড়া সকাল ১১ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত রোদে না যাওয়ার। দক্ষিণবঙ্গের আট জেলায় চরম তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা শুক্রবার থেকে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া বাঁকুড়া পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান বীরভূম জেলায় চরম তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। কলকাতা-সহ বাকি জেলাতেও তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস। উত্তরে বৃষ্টি চলবে উপরের দিকের পাঁচ জেলায়। উত্তরবঙ্গের নিচের তিন জেলাতেও গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে হালকা ঝড়ো হাওয়া সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। গরম ও অস্বস্তি মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। দক্ষিণবঙ্গচরম তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। স্বাভাবিকের তুলনায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে তাপমান। শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের আট জেলায় চরম তাপপ্রবাহ। বাকি সাত জেলাতেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। রবিবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে বলে অনুমান আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের। রবিবার পর্যন্ত গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। পশ্চিমের শুকনো হাওয়ায় গরম ও অস্বস্তি আরও বাড়বে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে লু এর পরিস্থিতি। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ঘরে। কলকাতাতেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। সপ্তাহের শেষে জারি হতে পারে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। গরম ও অস্বস্তি এতটাই বাড়বে যে শুক্রবার থেকে রবিবার কলকাতাতেও হিট ওয়েভের আশঙ্কা। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা শুক্রবার থেকে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া বাঁকুড়া পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম এই আট জেলায় চরম তাপপ্রবাহের (সিভিয়ার হিট ওয়েভ)সতর্কবার্তা। তাপপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে লু বইবে। বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। তাপমাত্রা ও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমের গরম হওয়া এতটাই প্রভাব বিস্তার করবে যে রীতিমত জ্বলবে দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলা। গা-জ্বলুনি গরমে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা।
2024-04-18T15:05:07Z