লোডশেডিং নজরদারিতে কমিটি গড়ল কেন্দ্র

কৌশিক প্রধানভারতে লোডশেডিংয়ের নজরদারিতে কমিটি গঠন করল কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক। ইলেকট্রিসিটি (রাইটস অফ কনজ়িউমার্স) রুলস, 2020 লঙ্ঘন করে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলি ইচ্ছাকৃত লোডশেডিং করছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তরফে মঙ্গলবার এক লিখিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, লোডশেডিংয়ের জন্য গ্রাহকরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন কি না, তা-ও নজরদারি করবে ওই কমিটি। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে পাঁচ-সদস্যের ওই কমিটি প্রতি দু’সপ্তাহে অন্তর সুপারিশ জমা দেবে।

গরম মাত্রাছাড়া হতেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। তীব্র দাবদাহের সঙ্গে বিদ্যুৎ না থাকার ক্ষোভ সোশ্যাল মিডিয়ায় উগরে দিয়েছেন বহু গ্রাহক। যদিও সিইএসসি এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দাবি, কোথাও লোডশেডিং হচ্ছে না। ওভারলোডিংয়ের কারণে ট্রিপ করার জন্য কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এই সমস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনায় কি গ্রাহকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন? এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ইচ্ছাকৃত লোডশেডিং কী, তার কোনও ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় বিধিতে নেই। সাধারণ নিয়মে কোনও বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এলাকায় মোট বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে যা বিদ্যুৎ প্রয়োজন, তার পুরোটা জোগাড় না করতে পারলে সংস্থাকে লোডশেডিং করতে হয়। এখন বণ্টন সংস্থা যদি দাবি করে, ট্রিপ বা ফল্টের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে। তা হলে গ্রাহকের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা নয়।’

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটারি কমিশন (স্ট্যান্ডার্ড অফ পারফরম্যান্স অফ লাইসেন্সিজ রিলেটিং টু কনজিউমার সার্ভিসেস) রেগুলেশন, 2013 চালু আছে রাজ্য। সেখানেই বলা হয়েছে, রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলিকে তাদের ওয়েবসাইটে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে প্ল্যানড ও আন-প্ল্যানড পাওয়ার কাট এলাকা ধরে জানাতে হবে। কতক্ষণ বিদ্যুৎ ছিল না জানাতে হবে সেই তথ্যও।

এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ওয়েবসাইটে প্ল্যানড আউটেজ কিছু কিছু সময়ে তোলা হয়। এছাড়া বণ্টন সংস্থা তাদের প্রায় 14 হাজার বাল্ক কনজ়িউমারকে একটা ইন্টারাপশন বেনিফিট দেয়। রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নির্ধারিত রেট অনুযায়ী, তারা তা পায়। তবে অন্যান্য গ্রাহকদের জন্য এই বেনিফিট নেই।’ উল্লেখ্য, বণ্টন সংস্থার মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় 50 শতাংশ এই 14 হাজার বাল্ক কনজ়িউমারদের থেকে আসে।

কেন্দ্রীয় বিধি অনুযায়ী, শুধু লোডশেডিং নয়, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ, শিফ্টিং, ভোল্টেজ ও বিল সংক্রান্ত অভিযোগ ইত্যাদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলেও সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে বণ্টন সংস্থা। মন্ত্রকের তরফে আগেই জানানো হয়েছে, 24X7 ভিত্তিতে বিদ্যুৎ পাওয়া গ্রাহকের অধিকার। কোনও বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা অকারণে বা ইচ্ছাকৃত লোডশেডিং করলে ইলেকট্রিসিটি (রাইটস অফ কনজ়িউমার্স) রুলস, 2020 অনুযায়ী আর্থিক ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ গ্রাহকের বিলে অ্যাডজাস্ট করতে হবে।

এদিকে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের এদিনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পাঁচ-সদস্যের কমিটিতে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব ছাড়া রয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (ওএম), গ্রিড-ইন্ডিয়া ডিরেক্টর (অপারেশনস), বিদ্যুৎ মন্ত্রকের ডিরেক্টর (আরসিএম) ও বিদ্যুৎ মন্ত্রকের ডিরেক্টর (ডিস্ট্রিবিউশন)। সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলি ফুয়েল সারচার্জ নিচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি তৈরি করতে পারে কেন্দ্র।

এই ধরনের আরও খবর জানতে এই সময়ে আসুন। লেটেস্ট নিউজ, শহরের তাজা খবর, দেশের খবর, ব্যবসার খবর, খেলার আপডেট, দৈনিক রাশিফল এবং লাইফস্টাইলের টিপস জানুন। আর ভিডিয়োর জন্য রয়েছে TimesXP

2024-04-23T18:46:53Z dg43tfdfdgfd