'ভুল' ইঞ্জেকশান দেওয়ায় তরুণীর মৃত্যু! ফের প্রশ্নের মুখে হাসপাতাল

হাসপাতালে ভুল ইঞ্জেকশান দেওয়ার অভিযোগ। যার জেরে প্রাণ গেল বছর ২৩-র এক তরুণীর। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে গুরুগ্রামের উমা সঞ্জীবন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গুরুগ্রামের বাসিন্দা মৃত ওই তরুণীর নাম সগুণ চান্দেকার। পরিবার সূত্রে খবর, চলতি বছরের ১৮ মে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই সময় নিম্ন রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তাছাড়া সগুণের গায়ে হালকা জ্বর ছিল বলেও দাবি করেছেন তাঁর আত্মীয়রা।

নিহত তরুণীর বোন আকাঙ্খার জানান, "রক্তচাপের সমস্যা না কমায় চিকিৎসক দিদিকে ইঞ্জেকশান দেন। এর পরই দ্রুত দিদির অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।"

"ইঞ্জেকশান দেওয়ার পরই সগুণের সারা শরীরে ব়্যাশ বেরিয়ে যায়। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছিল দিদি। পা-র যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিল না। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসককে ডেকে গোটা বিষয়টি জানাই। তিনি বলেন, এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এই ধরনের ইঞ্জেকশানে এটা হয়েই থাকে।" তরুণীর মৃত্যু নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁর বোন আকাঙ্খা।

উল্লেখ্য, এর পর সগুণের অবস্থার আরও অবনতির হলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের আরেক সদস্যের কথায়, "চিকিৎসকের ভুলেই আজ আমরা মেয়েকে হারিয়েছি। শারীরিক অবস্থা না বুঝেই ওই বিষ ইঞ্জেকশান দেওয়া হয়েছিল।"

সগুণের মৃত্যুর পর উমা সঞ্জীবন হাসপাতাল ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গুরুগ্রামের থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর পরিবার। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। হরিয়ানার স্বাস্থ্য দফতরের কাছেও গিয়েছে অভিযোগ। পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে হরিয়ানার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।

অন্যদিকে চান্দেকার পরিবারের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে গুরুগ্রামের উমা সঞ্জীবন হাসপাতাল। এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে বিবৃতি দিয়েছে তাঁরা।

হাসপাতালের পালটা যুক্তি, সগুণাকে ভালোভাবে পরীক্ষা করার পরই ওই ইঞ্জেকশান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে প্রায়ই ওই ইঞ্জেকশান দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

"তরুণীকে ইঞ্জেকশান দেওয়ার আগে পরিবারকে জানানো হয়েছিল। শুধু তাই নয়, আমরা রোগীকে অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলাম। সেই মতো যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রথম অবস্থায় তা মানতে চায়নি পরিবার। পরে তাঁরা নিজেরাই ওই তরুণীকে অন্যত্র নিয়ে যান।" জানিয়েছেন হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার শ্যাম নাগার্জ্জুন।

2023-05-23T05:11:18Z dg43tfdfdgfd