সংক্রমিত একের এক গোরু, গায়ে উঠছে গুটি! কতটা সুরক্ষিত গোদুগ্ধ?

সিকিমের গোরুর চামড়ায় দেখা গিয়েছে অদ্ভুত এক রোগ। সেখানের গোরুর চামড়ায় দেখা দিয়েছে এই সংক্রমণ। ফলে চামড়ায় জমছে পিন্ড।

উত্তর পূর্বের রাজ্যটিতে গোরুর মধ্যে দেখা দিয়েছে lumpy skin disease (LSD) বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এই রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পরে কমেছে দুধের উৎপাদনও।

সিকিমের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের সচিব P Senthil Kumar জানান, এই রোগ দেখা দিয়েছে সোরেং, পাকিয়ং, নামচি এলাকাতেও। সেখান থেকে গোরুর চামড়ার নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় ভোপালের National Institute of High Security Animal Disease।

সেখানে পরীক্ষায় গোরুর শরীরে LSD-র প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। পি সেন্থিল কুমার বলেন, “এই রোগের প্রকোপ কমাতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

যত দিন না সেখানে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে ততদিন বাইরে থেকে সেখানে কোন গোরুকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি। আধিকারিকরা জানান, দুধের জন্য কোন গোরুকে এখন নতুন করে সিকিমে আসতে দেওয়া হবে না। তবে গোমাংসের জন্য ষাঁড় বা মহিষ, যা সঙ্গে সঙ্গে কাটা হবে সেগুলি আসার অনুমতি দেওয়া হবে।

সিকিমের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের সচিব জানিয়েছেন, সেখানে সুস্থ গোরুগুলিকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। যাঁদের সেখানের খামার আছে তাদেরকেও দ্রুত স্থানীয় পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে এই রোগের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল অসমেও। আধিকারিকরা জানান, এই রোগ হলে গোরুর দু থেকে তিন দিন হাল্কা জ্বর থাকে। তারপরেই চামড়ার ওপরে পিন্ড দেখা দেয়। এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে গোরুর মুখেও। সেই সঙ্গেই গোরুর দুধ দেওয়া ক্ষমতা কমে যায়। পশু চিকিৎসকরা জানান, LSD আক্রান্ত গোরুর দুধ মানুষে খেলে তাঁদের মধ্যেই সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

জানা গিয়েছে, ভারতের এই রোগের প্রকোপ প্রথম দেখা দেয় ২০১৯ সালে। কী কারণে এই সংক্রমণ হয় তার কারণ এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি আধিকারিকরা। তবে ছাগলের পক্স হলে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় সেটাই এখন দেওয়া হচ্ছে গোরুর শরীরে।

তাঁরা জানান, কোন গোরু এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে সেটিকে আলাদা করে রাখতে হবে। তার থেকে যাতে কোনভাবেই সংক্রমণ না ছড়ায় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই রোগের প্রকোপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

2023-05-22T14:41:00Z dg43tfdfdgfd