বর্ধমানের ইছাই রাজার রাজধানীতে গেছেন? ছোট্ট ছুটিতে ঘুরে আসুন, মন ভরে যাবে!

পশ্চিম বর্ধমান: শীতের মরশুমে ঘুরে আসতে পারেন পশ্চিম বর্ধমানের এই বিশেষ জায়গা থেকে। একবার গেলে সত্যিই ভাল লাগবে সকলেরই। শীতের মরশুমে ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর একটা ডেস্টিনেশন হতে পারে দেউল পার্ক। দেউল পার্ক অবস্থিত পশ্চিম বর্ধমান আর বীরভূমের সীমান্তে। অজয় নদীর পাড়ে রয়েছে দেউল পার্ক। আর নদী পেরোলেই বীরভূম। ঐতিহাসিকদের মতে, দেউল পার্ক সংলগ্ন জায়গাটি ছিল রাঢ়বঙ্গের রাজা ইছাই ঘোষের রাজধানী। এই জায়গায় বসেই, রাঢ়বঙ্গের একাধিক জায়গায় নিজের শাসন বিস্তার করেছিলেন রাজা ইছাই ঘোষ।

বর্গী আক্রমণ থেকে নিজের রাজ্য রক্ষা করতে, তৈরি করেছিলেন আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। ইট-চুনসুরকি দিয়ে বানিয়ে ছিলেন সুউচ্চ একটি টাওয়ার। আর এই ওয়াচ টাওয়ারটি ইছায় ঘোষের দেউল নামেই পরিচিত ওয়াচ টাওয়ারটিকে কেন্দ্র করেই দেউল পার্ক গড়ে উঠেছে। পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। এখানে থাকার জন্য রয়েছে বিভিন্ন রকমের রিসর্ট। বাজেট এবং চাহিদা অনুযায়ী, রিসর্ট বুক করতে পারবেন সকলেই। এছাড়াও পাওয়া যাবে পছন্দ মতো বিভিন্ন খাবার। একইসঙ্গে শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্যও রয়েছে একাধিক ব্যবস্থা।

“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”

রয়েছে বিভিন্ন জয় রাইড। পার্কের ভেতর অবস্থিত একটি বড় দিঘিতে বোটিং করার ব্যবস্থাও রয়েছে। । তাছাড়া বিভিন্ন গাছ গাছালিতে ভরা এই জায়গা সত্যিই অসাধারণ। এছাড়াও শীতের মরশুমে দেউল পার্কে বিভিন্ন রকমের, নানা রঙের ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। দেউল পার্ক থেকে কাছেই রয়েছে গড় জঙ্গল। ভাগ্য ভাল থাকলে জঙ্গলের মধ্যে ময়ূরের দেখাও মিলতে পারে।দুর্গাপুরের মুচিপাড়া থেকে মলানদিঘির রাস্তা ধরে দেউল পার্ক যেতে হবে। জেলা সদর আসানসোল থেকে ট্রেন অথবা গাড়ি নিয়ে চলে আসতে হবে মুচিপাড়া।

আরও পড়ুন: ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ কম দামে পাবেন ওষুধ! মানুষের জন্য নতুন সুবিধা

তারপর সেখান থেকে ট্রেকার ভাড়া করে, দেউল পার্ক পৌঁছান যাবে। কলকাতা থেকে ট্রেনে এলে দুর্গাপুর স্টেশন নামতে হবে। আর বসে এলে দুই নম্বর জাতীয় সড়কের উপর অবস্থিত মুচিপাড়া নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে একই পথ ধরে ইছাই ঘোষের দেউলে যাওয়া যাবে। শীতের মরশুমে ঘুরতে যাওয়ার জন্য সত্যিই আদর্শ এই জায়গা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

2025-01-10T17:46:59Z