কলকাতা: চাকরি পেয়েছিলেন মোট ৩৪৭৮ জন৷ তাদের মধ্যে ৩০৩০ জনেরই প্রাপ্ত নম্বরে কারচুপি করা হয়েছে৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রুপ সি চাকরি প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করে এই দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি৷
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগেই বিভিন্ন স্কুলে চাকরি পাওয়া গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনের চাকরি গিয়েছিল৷ এবার সেই হাইকোর্টের নির্দেশেই গ্রুপ সি-র চাকরি প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ আর সেই তালিকাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল, গ্রুপ সি-র নিয়োগ প্রক্রিয়া কী ধরনের কল্পনাতীত দুর্নীতি হয়েছে৷
আরও পড়ুন: কে শান্তনু? কে-ই বা কুন্তল? নিজের দলের নেতাদের চিনতেই পারলেন না শোভনদেব
গ্রুপ সি-র নিয়োগে অযোগ্যদের চাকরি দিতে কীভাবে ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছিল, সেই তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ আজ সেই তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি৷ সেই তালিকাতেই স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, ওএমআর শিটে শূন্য পাওয়া একাধিক প্রার্থীর নম্বর বাড়ানো হয়েছে৷ যাঁরা শূন্য পেয়েছিলেন, সেরকম একাধিক অযোগ্যদের নম্বর বাড়িয়ে ৫৭ পর্যন্ত করা হয়েছে৷ শুধু অযোগ্যদের নম্বর বাড়ানো নয়, অযোগ্য প্রার্থীদের জায়গা করে দিতে বেশ কয়েকজন যোগ্য প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর কমিয়ে তাঁদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল৷ এই ভাবে সর্বোচ্চ ৫ নম্বর পর্যন্ত কমানো হয়েছে বলে এসএসসি-র প্রকাশিত তালিকায় উঠে এসেছে৷
ইতিমধ্যেই রাজ্য জুড়ে গ্রুপ সি-র যে চাকরি প্রাপকদের নিয়োগ বাতিল হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকের সঙ্গেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতানেত্রীদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে৷ এমন কি, শাসক দলের নেতা, বিধায়কদের পরিবারের সদস্যদের নামও সেই তালিকায় রয়েছে৷
এসএসসি সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে গ্রুপি সি-তে নিয়োগের এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়৷ ২০১৭ সালের ৫ মার্চ পরীক্ষা হয়৷ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালেরই ২৪ জুলাই৷ ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে নিয়োগপত্র দেওয়া শুরু করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷
শিক্ষক নিয়োগের মতো এসএসসি-র গ্রুপ সি নিয়োগের ক্ষেত্রেও যে বেলাগাম দুর্নীতি হয়েছে, তা আগেই কলকাতা হাইকোর্টে প্রমাণিত হয়েছিল৷ জানা গিয়েছে, ৫৭ জন এমন প্রার্থীও চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁদের জন্য কোনও সুপারিশপত্রই মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে দেয়নি এসএসসি৷
2023-03-13T11:06:00Z dg43tfdfdgfd