SSC News: মধ্যরাতে ফের এসএসসি ভবনের সামনে ধুন্ধুমার
ABP Ananda Live: মধ্যরাতে ফের এসএসসি ভবনের সামনে ধুন্ধুমার। পুলিশকে ঠেলে বের করে দিলেন আন্দোলনকারীরা। কোর্ট বললেই তালিকা, রিভিউ পিটিশন পর্যন্ত অপেক্ষা করার বার্তা শিক্ষামন্ত্রীর। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই শিক্ষকদের বেতন। মধ্যরাতে বিবৃতি এসএসসির। দ্রুত রিভিউ পিটিশন, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিলেই তালিকা প্রকাশ, জানালেন ব্রাত্য হল না যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বললেন, "যাঁরা যোগ্য বঞ্চিত শিক্ষক, সময়মতোই বেতন পাবেন। এসএসসি বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনেই চলবে। আমরা দ্রুত রিভিউ পিটিশনে যাচ্ছি। এখানে জলঘোলা করার কোনও ব্যাপার নেই। আইনজ্ঞদের অনুমতি না মেলাতেই তালিকা প্রকাশিত হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিলেই তালিকা প্রকাশিত হবে। রিভিউ পিটিশন করা পর্যন্ত অপেক্ষা।" ডেডলাইনই সার, যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল না SSC ডেডলাইনই সার, যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল না এসএসসি। দাবি আদায়ে রাতভর ঘেরাও চাকরিহারা শিক্ষকদের। চাকরিহারা শিক্ষকদের চাপের মুখে পিছু হটল পুলিশ। রাতভর কমিশনের দফতরেই আটকে এসএসসির চেয়ারম্যান। মধ্যশিক্ষা পর্ষদেও চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের ঘেরাও। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বললেন, "যাঁরা যোগ্য বঞ্চিত শিক্ষক, সময়মতোই বেতন পাবেন। এসএসসি বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনেই চলবে। আমরা দ্রুত রিভিউ পিটিশনে যাচ্ছি। এখানে জলঘোলা করার কোনও ব্যাপার নেই। আইনজ্ঞদের অনুমতি না মেলাতেই তালিকা প্রকাশিত হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিলেই তালিকা প্রকাশিত হবে। রিভিউ পিটিশন করা পর্যন্ত অপেক্ষা।"
2025-04-22T01:21:56Z
এসএসসি কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের বিরাট নির্দেশ! কিন্তু স্বস্তি পাচ্ছেন না চাকরিহারা শিক্ষকরা!
কলকাতা: আপাতত স্বস্তি! মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আর্জিতে সাড়া দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, টেন্টেড নন এমন শিক্ষকেরা আপাতত স্কুলে যেতে পারবেন। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, তারা চলতি বছরেই নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করবে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে শেষ করতে হবে নিয়োগপ্রক্রিয়াও। তাই মনে করা হচ্ছে, আপাতত কয়েক হাজার শিক্ষক স্বস্তি পেলেন। কিন্তু ওয়াই চ্যানেলে অবস্থানরত চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, পরীক্ষা দিতে নারাজ আন্দোলনরত চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাঁদের প্রশ্ন, ”৩১ ডিসেম্বরের পরে আমরা সংসার কী করে চালাব? এটাতে কোনও স্বস্তি পাচ্ছি না।” বাস্তবিকই, যারা ৯ বছর আগে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, সেই তাঁরাই এখন পরীক্ষায় বসলে আর কি একই ভাবে পাশ করতে পারবেন? সেই প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। আবারও সেই একই প্রশ্ন বহাল রইল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীর (এঁদের মধ্যে ১৭ হাজার ২০৬ জনই শিক্ষক-শিক্ষিকা) নিয়োগ বাতিলের জেরে আদালতে মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানান, শুধুমাত্র ‘যোগ্য’ শিক্ষকরাই আপাতত কাজ চালাতে পারবেন। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আদালতের এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার জন্য আপাতত ‘টেন্টেড’ (অযোগ্য) তালিকায় নাম না-থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে পড়াতে পারবেন। তবে রাজ্যের জন্য বেশ কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শর্ত হল, ৩১ মে-র মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে রাজ্যকে। ফলে চাকরিহারা যোগ্যদের পুরোপুরি স্বস্তি ফেরার জায়গা নেই বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। তবে যতদিন তাঁরা ক্লাস করাবেন, সেই সময়ের বেতন পেতে তাঁদের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা।
2025-04-17T07:52:50Z