DONALD TRUMP : 'আমি নির্দোষ...', সরকারি গোপন নথি চুরির অভিযোগে মুখ খুললেন ট্রাম্প

যৌন কেলেঙ্কারির পর ফের নতুন করে চাপ তৈরি হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর। এবার তাঁর বিরুদ্ধে গোপন সরকারি নথি চুরির অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যে বাইডেন প্রশাসন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্তের চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে গোপন নথি চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প।

সরকারি তরফে না জানানো হলেও, গোপন নথি চুরির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসন তদন্ত শুরু করতে চলেছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন ট্রাম্প। এ ব্যাপারে তাঁর আইনজীবীকে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। বাইডেন প্রশাসনকে দুর্নীতিগ্রস্থ আখ্যা দিয়ে, গোপন তথ্য চুরি মামলায় আগামী মঙ্গলবার মিয়ামির একটি ফেডারেল আদালতে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে গোপন তথ্য চুরির জন্য ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সরকারি গোপন তথ্য চুরির অভিযোগ ছিল না। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পই প্রথম সেই নজির স্পর্শ করতে চলেছেন বলে খবর।

এ নিয়ে সোসাল মিডিয়ায় সরবও হয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। সেই সঙ্গে একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সাথে এমন ঘটনা যে ঘটতে পার, তা তিনি কল্পনাও করেননি বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত বছর আগস্ট মাসে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মার-এ- লোগোর বাড়িতে তল্লাশি চালায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১১ হাজার গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করে। নথি উদ্ধারের সময় বাধা সম্মুখীন হতে হয়েছিল বলে এফবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছিল।

যদিও সেই সময় নথি উদ্ধারকে ঘিরে সাফাইও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। নথিগুলি ডিক্লাসিফাই বলে দাবি করেছিলেন। যদিও এর স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। আগামী বছর মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে আরও আইনি ঝামেলায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জড়িয়ে পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকারি গোপন নথি চুরি করার পাশাপাশি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্যাপিটেল হিল হামলারও তদন্ত করা হতে পারে বলে খবর। সেই সঙ্গে ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার যে অভিযোগ উঠেছিল, তাতে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হতে পারে।

পর্ণতারকা ঘুষ মামলায় ইতিমধ্যে নাম জড়িয়েছে ট্রাম্পের। এবার সরকারি নথি চুরির অভিযোগ উঠল। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তার আগে আইনি বিড়ম্বনায় যথেষ্ট চাপে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

2023-06-09T06:22:25Z dg43tfdfdgfd