একটা সময় ছিল যখন স্কুলের পড়ুয়ারা পড়া না পারলেই বা বিশৃঙ্খল আচরণ করলেই তাদের দমাদম দিতেন শিক্ষকরা। কান ধরে ওঠবোস, বেত দিয়ে, স্কেল দিয়ে মার এসব তো লেগেই থাকত। কানমলা তো যখন তখন। আর কড়া ভাষা. বকাঝকা তো একেবারে জলভাত। এবেলা ওবেলা খেতে হত আর তার ফলেই শিক্ষক ও পড়ুয়ার মধ্য়ে সম্পর্কের অবনতি হত তেমনটা নয়। যে শিক্ষক বকতেন তিনিই আবার কাছে টেনে নিতেন। তবে সেই শাসনের ব্যাপারটা এখন অতীত। এখন শিক্ষক সামান্য কিছু বললেই তাতে আপত্তি তোলেন অভিভাবকরা। তবে কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে।
তবে এবার শিক্ষকরা পড়ুয়াদের কড়াভাবে বকাঝকা করতে পারেন কি না তা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। এক নাবালিকা পড়ুয়ার আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা থেকে এক শিক্ষককে রেহাই দিয়েছে হাইকোর্ট। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট জানিয়েছে শিক্ষক কোনও পড়ুয়াকে বকুনি দেওয়ার সময় কঠোর ভাষা প্রয়োগ করতেই পারেন।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কোনও পড়ুয়া পড়াশোনায় দুর্বল হলে তার উন্নতির জন্য বা কোনও পড়ুয়া বিশৃঙ্খল আচরণ করলে শিক্ষক মহাশয় কড়া ভাষা প্রয়োগ করতেই পারেন। অধিকাংশ পড়ুয়ার মনেই এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া হবে না। যদি কোনও অতিসংবেদনশীল পড়ুয়া এনিয়ে আত্মহত্যা করে তবে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হলে তা হবে বিচারের নামে প্রহসন। তবে সেই সঙ্গেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ যে যদি কোনও শিক্ষক পড়ুয়াকে হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে তবে অন্য দৃষ্ঠিভঙ্গি থেকে তার বিচার করতে হবে।
পাঞ্জাবের জলন্ধরে এক স্কুল পড়ুয়া নাবালিকাকে এক স্কুল শিক্ষক হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এদিকে ওই ছাত্রীর সুইসাইড নোটেও এনিয়ে উল্লেখ করা ছিল। জলন্ধরের অতিরিক্ত দায়রা আদালতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জও গঠন করা হয়। এরপর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি হাইকোর্টে যান। তবে আপাতত সেখানে তিনি কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন বলে খবর। কারণ তিনি যে ওই পড়ুয়াকে হেনস্থা করেছেন তার কোনও প্রমাণ আপাতত পাওয়া যায়নি। এমনকী শিশুর অধিকার রক্ষা আইন অনুসারে স্কুলের তিন সদস্যের কমিটিও ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগের কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। সেক্ষেত্রে আপাতত রেহাই পেয়েছেন ওই শিক্ষক।
তবে অনেকের মতে বর্তমানে সেই কড়া ভাষায় বকাঝকা করা, শিক্ষক
2024-04-28T09:57:46Z dg43tfdfdgfd