UNITED NATIONS: ‘আশা করছি প্রত্যেকের অধিকার…’কেজরিওয়াল গ্রেফতারে মুখ খুলল রাষ্ট্রসংঘ

এবার ভারতে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রসঙ্গ তুলে মুখ খুলেছে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারতের নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক ও সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা করা হবে এটা আশা করছে রাষ্ট্রসংঘ। 

সংবাদমাধ্য়মের কাছে রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, আমরা ভারতে অন্যান্য দেশের মতোই আশা করছি যে ভোটের সময় সকলের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে, সকলের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার ঠিকঠাক থাকবে।  সকলে যাতে এমন একটা পরিবেশে ভোট দিতে পারে যেটা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ। 

তিনি তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভারতের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলা ভালো তিনি ভারতের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতারের ঘটনাকে ঘিরে ও কংগ্রেস দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের তরফে। ভোট আসছে ভারতে। তার আগে এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হল। 

সেই সঙ্গেই তিনি ভারতে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার যাতে ঠিকঠাক বজায় থাকে, সুরক্ষিত থাকে সেটা নিশ্চিত করার ব্যাপারে জানিয়েছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্প্রতি ফ্রিজ করা হয়েছে। তার মধ্য়েই এবার এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রসংঘ। এই ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

তবে ভারতের বিদেশ দফতর অবশ্য় ভারতের নির্বাচনী ও আইনগত ক্ষেত্রে অন্য কোনও বাইরের সংস্থা নাক গলাক এটা একেবারেই চান না। কারণ আমেরিকাও ভারতে স্বচ্ছ আইনগত বিষয়গুলিকে প্রয়োগ করার উপরে জোর দেয়। তবে এভাবে ভারতের অভ্যন্তরীন ব্যাপার নিয়ে আমেরিকার নাক গলানোকে একেবারেই মানতে পারেনি। 

এদিকে ইডি আগেই গ্রেফতার করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। নির্দিষ্ট অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য়দিকে কংগ্রেসের ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করা নিয়ে এর আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। 

তিনি বলেছিলেন, ‘এটা কংগ্রেস দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা নয়, এটা ভারতীয় গণতন্ত্রকে ফ্রিজ করা। সবচেয়ে বড় বিরোধী দল হিসেবে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না- আমরা বিজ্ঞাপন বুক করতে পারছি না, আমাদের নেতাদের কোথাও পাঠাতে পারছি না। এটা গণতন্ত্রের ওপর হামলা।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও দায়ী করেছেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধী বলেন, 'এটি কংগ্রেস দলের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি পদক্ষেপ, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারা করা একটি ফৌজদারি পদক্ষেপ।

তিনি বলেন, 'ভারত যে গণতান্ত্রিক দেশ, এই ধারণা মিথ্যা। ভারতে আজ গণতন্ত্র নেই। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ এই ধারণাটি মিথ্যা। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। … নির্বাচনে আমাদের পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে এটা করা হয়েছে। আজ আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ না করলেও ভারতীয় গণতন্ত্রের বিপুল পরিমাণ ঋণের ক্ষতি হয়েছে।

2024-03-29T11:08:44Z dg43tfdfdgfd