গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা পশুপাখিদেরও! চিড়িয়াখানায় বিশেষ ব্যবস্থা

পূর্ব বর্ধমান: মানুষ তো বটেই, এই যা গরম পড়েছে তাতে বাঘ, ভাল্লুকও হয়ে উঠেছে নাজেহাল। তাই এবার তাদের জন্যও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে সমগ্র রাজ্য তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা।

গত কয়েকদিনে উষ্ণতার পারদ ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। চরম উষ্ণতার সঙ্গে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশী থাকায় আরও বেশী কষ্ট অনুভব করেছে মানুষ। তবে শুধুমাত্র মানুষই না, আবহাওয়ার এই তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়ছে পশুপাখিরাও ।

বর্ধমানের একমাত্র চিড়িয়াখানা অর্থাৎ রমনাবাগান অভয়ারণ্যের ভিতরে থাকা প্রাণীদের অবস্থাও করুণ হয়ে উঠেছে। তাই পশুপাখিরা যাতে এই তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে না পড়ে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বনবিভাগের আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: গাড়ি চলতে চলতে হঠাত্‍ ব্রেক ফেল? ঘাবড়াবেন না, এই ৬ টি উপায় মনে রাখুন, কয়েক সেকেন্ডে থামবে

এই প্রসঙ্গে বর্ধমান জ্যুলজিকাল পার্কের জু সুপারভাইজার তরুণ কান্তি ব্যানার্জী বলেন, “আমরা এই গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সতর্ক হয়ে পড়েছি যাতে পশু পাখিরা সুস্থ থাকে। পশু পাখিদের কথা ভেবে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের ঠান্ডা জলে স্নান করানো হচ্ছে, ফ্যান লাগানো হয়েছে, ফ্রুটি, ওয়ারেস, গ্লুকন-ডি দেওয়া হচ্ছে। তাদের থাকার ঘরগুলো যাতে ঠান্ডা থাকে সে কারণে ঘরের মাথায় খড়ের ছাউনি দেওয়া হয়েছে। পশুদের পানীয় জল যাতে গরম না হয়ে যায় সে কারণে বেশ কিছুক্ষণ পরপরই পাল্টানো হচ্ছে সেই জল। পশুদের খাবারে ফল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও যারা মাংসাশী নয় তাদের জন্য শাকসবজি দেওয়া হচ্ছে। এই তীব্র গরমে প্রাণীসহ আমাদেরকেও সুস্থ থাকতে হবে। তাই আমি বলব প্রত্যেকের গাছ লাগানো প্রয়োজন আরও সচেতন হওয়ার দরকার।”

এছাড়াও রমনা বাগানের অন্যতম আকর্ষণ একটি মাত্র ভাল্লুক, তার উপরেও রীতিমত বিশেষ নজর দিয়েছেন বনবিভাগের কর্মীরা। গরমের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে খাঁচায় লাগানো হয়েছে বিশাল স্ট্যান্ড ফ্যান। শরীরকে ঠান্ডা রাখতে মাঝেমধ্যেই দেওয়া হচ্ছে ফ্রুটি ,ওআরএস, গ্লুকন্ডি। মাঝে মধ্যে রসালো ফলও দেওয়া হচ্ছে। প্রচুর গাছপালা রমনাবাগান এলাকাকে কিছুটা হলেও ঠান্ডা রাখে। তবুও প্রাণীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য বিশেষ নজর রাখা হয়েছে বনদফতরের তরফে।

এছাড়াও রমনাবাগানের তিনটি চিতা বাঘের জন্যও বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত পাইপে করে ঠান্ডা জল দিয়ে পশুপাখিদের স্নান করানো হচ্ছে এবং হরিণের জন্য রিজার্ভে রাখা জলও পাল্টে দেওয়া হচ্ছে যাতে গরম না হয়ে যায়। সব মিলিয়ে বলতে গেলে এই প্রবল গরমে পশুপাখিদের উপরেও বিশেষ নজর রেখেছেন বর্ধমান জ্যুলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষ।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

2024-04-23T15:44:44Z dg43tfdfdgfd