চায়েের কাপে চুমুক দিয়ে চাওয়া পাওয়ার হিসেব! কেন্দ্র, বাঁকুড়া লোকসভা

বাঁকুড়া : আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ২০২৪। তীব্র গরমের মধ্যেও আসন্ন ভোট যেন এক গণতান্ত্রিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। রাস্তাঘাট, সরকারি দফতর কিংবা কোর্ট কাছারির পাশে টিফিন করার দোকান, যেখানেই সামান্য ভিড় জমছে সেখানেই আলোচনার বিষয়বস্তু ভোট। বাদ যাচ্ছে না চায়ের দোকানগুলিও। ৩৬৫ দিন ২৪ ঘন্টা চায়ের দোকানে ভিড় দেখা যায় বাঁকুড়া জেলায়। আর এই চায়ের দোকানগুলিতেই উঠে আসে বাঁকুড়ার সবচেয়ে ট্রেন্ডিং টপিক গুলি। চা প্রেমীমানুষ কিছুক্ষণ চেনা কিংবা অচেনা মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতা করে কাটান কিছুটা সময়। এই মুহূর্তে বাঁকুড়ার চায়ের দোকানগুলিতে সবচেয়ে হট টপিক হল লোকসভা নির্বাচন। চা পান করতে করতে চলছে ভোটের আলোচনা। অদৃশ্য দাঁড়িপাল্লা হাতে জনগণ করছেন পাঁচ বছরের চাওয়া পাওয়ার হিসেব-নিকাশ। কী বলছেন বাঁকুড়ার মানুষ। সেটা জানাতেই এই প্রতিবেদন।

এক পেয়ালা গরম চায়ে চুমুক দিলেই যেন সব টেনশন দূরে চলে যায়। চিন্তাভাবনা,সাংসারিক চাপ ভুলে বেরিয়ে আসে, বাঙালির “ফেভারিট আড্ডা”। বাঁকুড়া শহরের অন্যতম ব্যস্ততম এবং ঐতিহাসিক এলাকা বড় কালিতলা। এই বড় কালিতলার বিখ্যাত একটি চায়ের দোকানে গ্রীষ্ম ,বর্ষা ,শরৎ,হেমন্ত সব ঋতুতেই ভিড় জমান মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা অমলরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় চা পান করতে করতে আলোচনা করছিলেন ভোট নিয়ে। তিনি জানান, “চাওয়া পাওয়ার হিসেব-নিকেশ করা সম্ভব নয়। এখন কেন্দ্রবিন্দু ভোট। সবাই যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে সেটাই আশা করছি। বাঁকুড়া এবং সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের যেন উন্নতি হয়।”

আরও পড়ুন : ভোট এলে কদর বাড়ে এনাদের! নয়ত অসম্পূর্ণ থেকে যায় ভোটের প্রচার

বড় কালিতলা আরেক স্থানীয় বাসিন্দা অরূপ রাযের চিন্তা আবহাওয়া। গরম চায়ে চুমুক দিয়ে গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে ২৫ মে কীভাবে ভোট দিতে যাবেন সেই চিন্তা করছেন তিনি। চায়ের দোকানে তাকেও দেখা গেল এই বিষয়ে আলোচনা করতে। তিনি জানান, “এই তীব্র গরমে ২৫ তারিখে আমাদের ভোট পড়েছে, সেটা নিয়েই কথা হচ্ছিল। চাওয়া পাওয়ার মধ্যে যেন বাঁকুড়াতে শিল্প আছে এবং আমরা চাকরি-বাকরি করে খেতে পাই। আর্থসামাজিক দিকটা যেন উন্নতি হয়।”



চায়ের দোকানের কর্ণধার অমিত সূত্রধর সারাদিন ধরে চা বিক্রি করছেন। কে আসছে কে যাচ্ছে, কীকথা বলছে সবই তার কানে ঢোকে। প্রশ্ন করায় তিনি জানান, “এখন চায়ের দোকানে মূল বিষয়বস্তু হল ভোট। মানুষ এক কাপ চা খেতে এসে অনেক জনের সঙ্গেমিলিত হচ্ছে এবং আলোচনা করছে ভোট নিয়ে।”চায়ের দোকানের উল্টো দিকেই রয়েছে একটি মুদিখানার দোকান।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

চায়ের দোকানের মতই মানুষের নিত্য দিনের আনাগোনা এই দোকানে। দোকানের কর্ণধার জয় দত্ত চান বাঁকুড়ায় যেন শিল্প আসে এবং সেই শিল্পের হাত ধরেই যেন চাকরি পায় বাঁকুড়ার মানুষ। সঙ্গে বাঁকুড়ার পরিকাঠামোগত উন্নয়নও চেয়েছেন তিনি।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

2024-04-13T08:45:51Z dg43tfdfdgfd