তীব্র গরমে বিধ্বস্ত ডুয়ার্সের চা শিল্প, ভবিষ্যৎ নিয়ে গুচ্ছ প্রশ্ন

আলিপুরদুয়ার: তীব্র গরমে বিপদের মুখে ডুয়ার্সের চা শিল্প। গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহ চললেও উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি অতটাও খারাপ নয়। কিন্তু সেখানেও অন্যান্য বারের থেকে চড়া রোদের জেরে প্রচন্ড গরম পড়েছে। আর তারই প্রভাব দিয়ে পড়েছে ডুয়ার্সের চা শিল্পে।

টানা দাবদাহের জেরে আঁধার নেমে এসেছে উত্তরের চা শিল্পে। বেড়েছে চা গাছ পরিচর্যার খরচ, কমেছে চায়ের উৎপাদন। ফলে চিন্তার ভাঁজ চা শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের কপালে।

বর্তমানে রাজ্যজুড়ে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। আর এই দাবদাহের প্রভাব জনজীবনের পাশাপাশি পড়েছে চা শিল্পের উপরও। বর্তমানে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই, নেই বৃষ্টি। আর এর প্রভাবই পড়ছে চা গাছের স্বাস্থ্যের ওপর। চা বাগান কতৃপক্ষের দাবি, গত কয়েক বছরে আবহাওয়ার এক অমূল পরিবর্তন হয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে চা শিল্পে। তাঁরা জানান, চা উৎপাদন অনেকটাই বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল। গত কয়েক বছরে যে সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা সেই সময় হচ্ছে না।

আর‌ও পড়ুন: ১৬ বছর ধরে করে চলেছেন এই কাজ! ভোটের আগে মুদি ব্যবসায়ীর কাণ্ড শুনলে চমকে উঠবেন

এই বিষয়ে সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগানের ম্যানেজার শান্তনু বসু বলেন, চায়ের উৎপাদন দিন দিন কমছে। চা পাতার বিক্রিও একদম তলানিতে নেমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই চা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখাই এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্র -রাজ্য দুই সরকারেরই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তাপমাত্রাও অনেকটাই বেড়েছে। ডুয়ার্সে যেরূপ তাপমাত্রা পূর্বে ছিল বর্তমানে তার পরিবর্তন হয়েছে। ফলে চা গাছে বেড়েছে পোকামাকড়ের উপদ্রব। আর এই পোকামাকড়ের উপদ্রব কমাতে ব্যবহৃত কীটনাশকের দামও বেড়ে চলেছে প্রতিবছর।পাশাপাশি, জল সেচের মাধ্যমে চা গাছে জল দেওয়া হলেও তা বৃষ্টিপাতের ঘাটতি পূরণ করতে পারছে না। ফলে চা গাছ বা বাগান পরিচর্যার খরচ বাড়ছে। অপর দিকে এবছর এখনও অবধি গত দু’বছরের তুলনায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ চায়ের উৎপাদন কমেছে বলে দাবি অধিকাংশ চা বাগান কর্তৃপক্ষের। এই পরিস্থিতিতে উত্তরের চা শিল্পের ভবিষ্যত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

অনন্যা দে

2024-05-01T11:04:57Z dg43tfdfdgfd