তুরস্কে মে দিবসের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ইস্তাম্বুলের অনেক রাস্তাই পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছিল। বিক্ষোভ দেখাতে দেয়নি। ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।

শহরের ঐতিহাসিক তাসকিম স্কোয়ার থেকে পুলিশ দুইশরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েলিকায়া জানিয়েছেন।

পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়, রবার বুলেটও ছোড়ে। শ্রমিকরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মে দিবসের মিছিল করছিলেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান তাসকিম স্কোয়ারে বার্ষিক প্রতিবাদসভা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা ওজেল জানান, এই প্রতিবাদসভা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, শহরে ৪২ হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

বিক্ষোভ মিছিলে ওজেল ছিলেন, তার সঙ্গে শহরের মেয়র ইমামোগলুও যোগ দেন। কিন্তু তাসকিম স্কোয়ারের অনেক আগেই তাদের থামিয়ে দেয়া হয়। পুরো রাস্তা পুলিশ বন্ধ করে রেখেছিল।

কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চান। তখন পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

ওজেল জানিয়েছেন, যদি দেশের সবচেয়ে বড় শহরের প্রধান এলাকায় ১ মে-র অনুষ্ঠান করা না যায়, তাহলে বুঝতে হবে, গণতন্ত্রের সামনে বিপদ এসেছে। যতদিন তাসকিম স্কোয়ারে এই বিক্ষোভ দেখাতে না পারব, ততদিন আমাদের সংগ্রাম চলবে।

ফ্রান্স ও ফিলিপাইন্সে ঝামেলা

প্যারিসের কিছু এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে্।

কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী তাদের কাজের পরিবেশ ভালো করা ও বাড়তি বেতনের দাবিতে পথে নামেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন অলিম্পিক-বিরোধী ও ফিলিস্তিনপন্থিরাও।

কিছু বিক্ষোভকারী অলিম্পিক রিংয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। অলিম্পিক শুরু হতে আর তিন মাসও নেই। বিক্ষোভকারীদের একাংশ এই অলিম্পিকের তীব্র বিরোধিতা করছিলেন। ইউনিয়নগুলিও অলিম্পিক চলার সময় ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে। তাদের দাবি, অলিম্পিক শুরুর আগে কর্মীদের বেতন ও সুবিধা বাড়াতে হবে।

ম্যানিলাতেও শ্রমিকরা পথে নামেন এবং বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ তাদের প্রেসিডেন্টের বাসভবনে যেতে দেয়নি।

দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, কেনিয়াতেও মে দিবসের দিন প্রচুর মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)

2024-05-02T02:22:56Z dg43tfdfdgfd