‘ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র, গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার’: আমেরিকা

 মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের মেঘ। অন্য দিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর মধ্যেই ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার’ বলে অভিহিত করল হোয়াইট হাউজ। শুধু তাই নয়, ওয়াশিংটন এবং নয়াদিল্লির মধ্যে সম্পর্ক অপরিবর্তিত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে আমেরিকা।

সম্প্রতি ভারত সরকারের সমালোচনা করে বেশ কিছু প্রতিবেদন এবং নিবন্ধ প্রকাশিত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ভারতের গণতন্ত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। সে সবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন সরকারের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য করেন মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

সাংবাদিকদের মিলার বলেন, “ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার। এবং আমি আশা করি, এই সম্পর্ক অপরিবর্তিত থাকবে”। সাম্প্রতিক অতীতেও মার্কিন কর্তারা একাধিকবার ভারতকে ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ বলে মন্তব্য করেছেন। দুই দেশের সম্পর্কেও ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে।

তবে কিছু ক্ষেত্রে ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অস্থিরতাও দেখা গিয়েছে। মার্কিন মুলুকে খালিস্তানি আন্দোলন, মন্দিরে হামলা, ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উপর খালিস্তানিদের আক্রমণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। আবার সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতি ভাল ভাবে নেয়নি কেন্দ্র সরকার। তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। এর মধ্যে ভারতকে ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’ এবং মার্কিন মুলুকের ‘গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার’ মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

অন্য দিকে, রাশিয়া নির্ভরতা কমিয়ে সামরিক বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর ভারতীয় প্রচেষ্টাকেও সাধুবাদ জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক শীর্ষ গোয়েন্দা আধিকারিক ২০২৩ সালে বলেছিলেন, ভারত চিনের মোকাবিলায় এবং রাশিয়া নির্ভরতা কমাতে সেনাবাহিনীকে আধুনিক সাজে সাজিয়ে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ করছে।

চিনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিষয়ক শুনানির সময় ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি হাউজ আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সদস্যদের কাছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেফরি ক্রুস বলেছেন, গত কয়েক বছরে, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে ভারত বিশ্ব নেতা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছে। শুধু তাই নয়, সমগ্র ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের কার্যকলাপের মোকাবিলা যে একমাত্র ভারতই করতে পারে, তাও প্রমাণ করেছে নয়াদিল্লি।

2024-04-16T07:14:30Z dg43tfdfdgfd