হাত জোড় করে বৃদ্ধ সাধুবাবাকে প্রণাম মোদির! মঞ্চ থেকেই কেন এমন কাজ করলেন?

পূর্ব বর্ধমান: শুক্রবার বর্ধমানের তালিতের সাই কমপ্লেক্স ময়দানে জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। জনসভাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার কর্মী সমর্থকেরা উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে হাজার হাজার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে থেকেও নজর কাড়লেন এক বৃদ্ধ সাধুবাবা। জনসভা চলাকালীন কিছুক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রীও নজর দেন ওই সাধুবাবার দিকে।

প্রসঙ্গত শুক্রবার জনসভায় হাজার হাজার মানুষের পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ ধরে এক বৃদ্ধ সাধুবাবাও যেন প্রধানমন্ত্রীর জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। সকাল থেকে বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পর শুক্রবার সকাল ১০:৫০ নাগাদ বর্ধমানের তালিতের সাই কমপ্লেক্স ময়দানে এসে পৌঁছোন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন: গরমে রোজ দই খাচ্ছেন? তলে তলে বাড়ছে না তো ইউরিক অ‍্যাসিড? জেনে নিন

পরে তিনি মঞ্চে প্রবেশ করেন এবং তাঁকে স্বাগত জানানোর পর তিনি বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। ভগবানের নাম নিয়ে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। হাজার হাজার মানুষ বেশ ভালভাবেই উপভোগ করছিলেন তাঁর বক্তব্য।

তবে বক্তব্য চলাকালীন হঠাৎই থেমে যান মোদিজি। এক বৃদ্ধ সাধুবাবাকে দেখে বক্তব্য বন্ধ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ওই সাধুবাবাকে মঞ্চ থেকেই হাত জোড় করে প্রণাম করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন প্রধানমন্ত্রী প্রণাম জানালেন ওই সাধুবাবাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক। আসলে প্রধানমন্ত্রী যখন থেকে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন তখন থেকেই এক বৃদ্ধ সাধুবাবা দু’হাত তুলে দাঁড়িয়েছিলেন। আর হাতের মধ্যে ছিল খুব সম্ভবত একটি রুদ্রাক্ষের মালা।

বৃদ্ধ সাধুবাবার এহেন উত্তেজনা দেখেই প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য থামিয়ে ওই সাধুবাবার দিকে নজর দেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমি পেয়ে যাব ,আপনার মালা আমি ঠিক পেয়ে যাব। আপনি অনেকক্ষণ ধরে হাত উপর করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ক্লান্ত হয়ে যাবেন। এই বয়সেও আপনি এতটা আশীর্বাদ দিচ্ছেন আমি এখান থেকেই আপনাকে প্রণাম করছি।”

ওই বৃদ্ধ সাধুবাবা মালাটি ক্যামেরাম্যানের হাতে তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন তিনি ওই মালা পেয়ে যাবেন। মালা দিয়ে পরবর্তীতে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই সাধুবাবা। হাত জোড় করে কাঁদতে কাঁদতে তিনিও প্রধানমন্ত্রীকে প্রণাম করেন। এরপর সাধুবাবা তাঁর নির্দিষ্ট জায়গায় বসে পড়েন এবং প্রধানন্ত্রীও পুনরায় বক্তব্য রাখতে শুরু করেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

2024-05-04T08:01:16Z dg43tfdfdgfd