ANACONDA: ব্যাগ খুলতেই ফোঁস করে উঠল ১০ অ্যানাকোন্ডা, এয়ারপোর্টে তোলপাড়...

Anaconda Smuggling: এক যাত্রী তাঁর চেক-ইন লাগেজের মধ্যে ১০ টি হলুদ অ্যানাকোন্ডা। জানা গিয়েছে, পাচার করার জন্য তিনি এদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ইতোমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্যাগের ভিতর কিলবিল করছে অ্যানাকোন্ডা। না, এটা কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়। জানা গিয়েছে, এক যাত্রী তাঁর চেক-ইন লাগেজের মধ্যে ১০ টি হলুদ অ্যানাকোন্ডা পাচার করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ইতোমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেআইএ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি প্রকাশ্য নিয়ে আসে।

বেঙ্গালুরু কাস্টমস তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিবৃতি শেয়ার করেন। বিবৃতি অনুসারে, যাত্রীটি ব্যাঙ্ককের থাইল্যান্ড থেকে এসেছিলেন। ইতোমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত চালানো হচ্ছে। এই রকম বন্যপ্রাণী পাচার আর সহ্য করা হবে না। যাত্রীটির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন:Ola Cab: এসি না চালানোয় ঝগড়া, যাত্রীকে মাঝ রাস্তায় নামায় চালক! ১ লাখ ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ ওলাকে...

অ্যানাকোন্ডা ভারতের প্রাণী নয়। তাদের পোষ্য হিসাবে রাখা বেআইনি। ওই যাত্রীর কাছে যে হলুদ অ্যানাকোন্ডাগুলি পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া, উত্তর-পূর্ব আর্জেন্টিনা এবং উত্তর উরুগুয়ের মতো দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে পাওয়া যায়।  অনেক জায়গায়, অ্যানাকোন্ডাকে পোষ্য হিসাবে রাখা হয়। শুধু তাই নয়, অ্যানাকোন্ডার চামড়াও পাচার করা হয়।

কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের আটক করার ঘটনা এই প্রথম নয়। বেঙ্গালুরু কাস্টমস কর্মকর্তারা ব্যাঙ্ককের একটি ফ্লাইট থেকে ৭২টি সাপ এবং ছয়টি বানরও একটি ব্যাগেজ থেকে বাজেয়াপ্ত করেছিল। সাপের মধ্যে ছিল ৫৫টি অজগর এবং ১৭ টি কিং কোবরা, যার সবগুলোই ব্যাগের মধ্যে জীবিত ছিল। দুঃখের বিষয়, ছয়টি ক্যাপুচিন বানরগুলি মারা গিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছে গত বছরের সেপ্টেম্বরে।

আরও পড়ুন:Bridge Collapsed: জোরে বাতাস দিতেই ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান ব্রিজ, বরাতজোরে বাঁচল বরযাত্রী দল

এর আগে ২০২৩ সালে, ১৪ টি সরীসৃপ এবং ৪টি প্রাইমেটসহ তিনজন যাত্রী ধরা পড়ে। বন্যপ্রাণীগুলিকে কর্ণাটক বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই বিষয়টির তদন্তকারীরা বেঙ্গালুরুর একটি খামারবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই খামারবাড়িতে, কর্মকর্তারা অ্যানাকোন্ডা, বানর, এমনকি বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশী পাখি সহ ১৩৯ টি বন্য প্রাণী উদ্ধার করেছিলেন।

বিশ্বজুড়ে বন্যপ্রাণী ব্যবসার উপর কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও, এই পাচারের সমস্যা লেগেই থাকে। ২০২২ সালে, ২ ভারতীয় মহিলার স্যুটকেস থেতে ১০৯টি বন্যপ্রাণী পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে ছিল কচ্ছপ, সাদা সজারু, টিকটিকি এবং সাপ। থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে চেন্নাই যাচ্ছিলেন ওই দুই মহিলা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কক পোস্ট জানিয়েছে ২০১৯ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন, ২০১৫ সালের প্রাণী আইন এবং ২০১৭ সালের শুল্ক আইনের অধীনে মামলা করা হয়েছিল। 

বিমানবন্দরের মাধ্যমে পাচার করা অনেক প্রাণী প্রায়শই পথে মারা যায়। কারণ তাদের সনাক্তকরণ এবং তাদের পালানো এড়াতে আঁটসাঁট বাক্সে বা লাগেজে রাখা হয়।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

2024-04-23T16:45:03Z dg43tfdfdgfd