PM AWAS YOJNA: আবাসে মেলেনি বাড়ি, শৌচালয়ে ঠাঁই বৃদ্ধার, ভোটের আবহে রাজনৈতিক তরজা পুরুলিয়ায়

আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। লোকসভা ভোটের মুখে এমন একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। গত বছর ঝড়ে বাড়ি ভাঙলেও আবাস যোজনায় বাড়ি পাননি বৃদ্ধা। সে সময় প্রশাসনের তরফে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল শুধু একটি ত্রিপল। এর আগে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে একটি শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল বৃদ্ধাকে। কিন্তু, বাড়ি না থাকায় সেই শৌচালয়কেই মাথা গোঁজার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করছেন তিনি। পুরুলিয়া ১ ব্লকের ডুঁড়কু পঞ্চায়েতের সুন্দ্রাডি গ্রামের ঘটনা। ওই বৃদ্ধার নাম মিথিলা মাহাতো।

আরও পড়ুনঃ ‘শ্রমিকদের বদলে JCB দিয়ে মাটি কাটা হয়েছে’, দিল্লি থেকেই TMC–কে আক্রমণ সুকান্তর

এবার পুরুলিয়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। খবর পেয়ে তিনি ওই বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করে তাঁর খোঁজখবর নেন। এ বিষয়ে তিনি শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, পুরুলিয়া কেন্দ্রের প্রার্থী তথা প্রাক্তন মন্ত্রী আগে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি কিছুই করেননি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গরিবদের জন্য বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হলেও তাঁকে বাড়ি দেওয়া হয়নি। তাহলে সে ক্ষেত্রে টাকা কোথায় গেল? তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন বিজেপি প্রার্থী।

যদিও পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে, আবাস যোজনার তালিকায় ওই বৃদ্ধার নাম নেই। বাড়ি না থাকা সত্ত্বেও কেন বৃদ্ধার নাম তালিকায় নেই? সে বিষয়ে অবশ্য কোনও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান। এই বিষয় সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলেই জানান। অন্যদিকে, সিপিএমের পালটা অভিযোগ, এই বুথে দীর্ঘদিন ধরে সিপিএম জিতে আসছে। সেই কারণে তৃণমূল এখানকার মানুষদের আবাস যোজনা এবং অন্যান্য সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে।

অন্যদিকে, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো এ বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য পঞ্চায়েতের তরফে বৃদ্ধাকে একটি ত্রিপল দেওয়া হয়েছিল। তবে তালিকায় নাম না থাকলে কাউকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া যায় না। শুধু তাই নয়, আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রে আটকে রাখার ফলে সমস্যা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধার দুই মেয়ে রয়েছে। তবে তাদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি একাই সেখানে থাকেন। বাড়ি বাড়ি কাজ করে তিনি কোনওভাবে পেট চালান। এমনকী তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। তবে বার্ধক্য ভাতা চালু হয়েছে এ মাস থেকেই। বৃদ্ধার বক্তব্য, ভোট আসলেই রাজনৈতিক নেতারা খোঁজখবর নেন। কিন্তু ভোট চলে গেলে আর কেউ তাঁর খোঁজ খবর নেন না। তিনি জানান, ত্রিপলের নিচে রান্না করেন আর শৌচালয়ে কোনওভাবে মাথা গুঁজে থাকেন। তাঁর কথায়, কষ্ট হলেও কিছু করার নেই।

2024-04-17T09:56:24Z dg43tfdfdgfd