SSC SCAM : শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের জন্য সমস্যায় পড়বে পড়ুয়ারাও

এই সময়, মথুরাপুর: এসএসসির মামলার রায়ে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশে এক ঝটকায় ২৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। এর ফলে সমস্যায় পড়েছে বহু স্কুল।

সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি। সেই অনুপাতে স্কুলের স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যাটা ছিল কম। পার্শ্বশিক্ষক এবং স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলিয়ে স্কুলে ৫৫ জন ছিলেন। এই স্কুলে ১৪ জনের শূন্য পদ ছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে এই স্কুলের ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার।

গ্রামীণ এলাকায় একসঙ্গে এতজন শিক্ষকের চাকরি যাওয়ায় স্কুলের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই বাতিল হওয়া প্যানেলে রয়েছেন মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের ১১জন শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রীর অনুপাতে যদি একসঙ্গে এতজন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি চলে যায়, তা হলে স্কুলের পঠন-পাঠন চলবে কী ভাবে? চাকরি যাওয়া ওই ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা আমাদের স্কুলে যোগদান করেছিলেন। তবে সম্প্রতি তিন জন শিক্ষক-শিক্ষিকা উৎসশ্রীর মাধ্যমে বদলি হয়েছিলেন।’

অন্যদিকে, ডায়মন্ড হারবারের রায়নগর ক্ষেত্রনাথ সুনীলবরণ পৌর বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ছিল ২৫ জন। এর মধ্যে পার্শ্বশিক্ষক রয়েছেন দু’জন। এক ধাক্কায় পাঁচ জনের চাকরি বাতিল হওয়ায় মোট শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা হলো এখন ২০ জন। চাকরি হারানোদের মধ্যে আরও তিন জন শিক্ষক উৎসশ্রীর মাধ্যমে বদলি নিয়েছিলেন। ফলে মাত্র ১৮ জন স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাকে দিয়ে কী ভাবে প্রায় ২ হাজার পড়ুয়ার পঠনপাঠন হবে, তা নিয়ে চিন্তায় অভিভাবকেরাও। কপালে চিন্তার ভাঁজ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চন্দন রায়ের।

শিক্ষক সংগঠন সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজারের বেশি মানুষের চাকরি চলে গিয়েছে। প্রত্যেক স্কুলে কমবেশি দু’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শাসকদলের নেতা এবং তাঁদের পরিবারের একাধিকের চাকরি চলে যাওয়ায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি।

মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থা জাতির মেরুদণ্ড। অর্থের বিনিময়ে বেআইনি নিয়োগের ফলে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অযোগ্যদের পাশাপাশি যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হলেন। এ ছাড়া যে সমস্ত যোগ্য প্রার্থীরা আন্দোলন করছিলেন, তাঁদের আশাতেও জল ঢালা হলো। এই দুর্নীতির দায় অস্বীকার করতে পারে না স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকার। অবিলম্বে আদালতের নির্দেশ মেনে দ্রুত যোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হোক।’

এই ধরনের আরও খবর জানতে এই সময়ে আসুন। লেটেস্ট নিউজ, শহরের তাজা খবর, দেশের খবর, ব্যবসার খবর, খেলার আপডেট, দৈনিক রাশিফল এবং লাইফস্টাইলের টিপস জানুন। আর ভিডিয়োর জন্য রয়েছে TimesXP

2024-04-30T09:40:14Z dg43tfdfdgfd