Supreme Court: সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের জন্য রাজ্যের তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতিদের মধ্যেও আলাদা সংরক্ষণের অধিকার রয়েছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এই রায় দেন। সাংবিধানিক বেঞ্চ ২০২৪ সালে ইভি চিন্নাইয়া মামলায় পাঁচ বিচারকের রায়কে বাতিল করে আজকের এই রায় দেন।
তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যেও আলাদা সংরক্ষণে সম্মতি, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের। আদিবাসী- উপজাতির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনে সম্মতি সুপ্রিম কোর্টের। আজ, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সাত বিচারপতির বেঞ্চের তরফে শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি-জনজাতির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনে সম্মতি দেওয়া হয়। পিছিয়ে পড়া শ্রেণি যাতে শিক্ষা ও চাকরিতে আরও সুযোগ পায়, তার জন্যই এই রায় বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যে উপশ্রেণিকে সংরক্ষণ দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে রাজ্য সরকারের হাতে।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চের তরফে ২০০৪ সালের রায় খারিজ করে দিয়ে তফসিলি জাতি-জনজাতির মধ্যেও শ্রেণি বিন্যাসে সম্মতি জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের ছয় বিচারপতি এই রায়ের সপক্ষে সম্মতি জানানো হয়। বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী রায়ে বিরোধিতা করেছেন।
সিদ্ধান্তের অর্থ: রাজ্য সরকারগুলি এখন রাজ্যগুলিতে তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য জাতিকে কোটা দিতে সক্ষম হবে। অর্থাৎ তফসিলি জাতি বঞ্চিতদের জন্য কোটা তৈরি করে সংরক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, ২০০৬ সালে, পাঞ্জাব ৫০% কোটা দিয়েছিল এবং তফসিলি জাতির জন্য নির্ধারিত কোটার মধ্যে বাল্মীকি এবং মাজহাবি শিখদের সরকারি চাকরিতে প্রথম অগ্রাধিকার দিয়েছিল।
2024-08-01T07:53:32Z