TMC WORKER MURDER: বাগুইআটিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের? তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, নামল র‍্যাফ, আটক ১৩

লোকসভা ভোটের মধ্যেই তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল বাগুইআটের অর্জুনপুরের পশ্চিমপাড়া এলাকায়। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম সঞ্জীব দাস। সূত্রের খবর, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ওই কর্মীকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যে ১৩ জনকে আটক করেছে।

আরও পড়ুন: মালদায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে পিটিয়ে–কুপিয়ে খুন, অভিযোগের তির কংগ্রেসের দিকে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পশ্চিমপাড়া এলাকা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তারা একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে। ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগুইআটি থানার প্রচুর পুলিশ। সেইসময় পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে আবার গভীর রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। অভিযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু'পক্ষ। তখন বিপক্ষের ইটের আঘাতে আহত হন সঞ্জীব দাস ওরফে পটলা। অভিযোগ, এরপর তাঁকে রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ফেলে লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফের আসে বাগুইআটি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে স্থানীয়রা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলে র‍্যাফ নামাতে বাধ্য হয় পুলিশ। পরে পুলিশের আশ্বাসে শান্ত হন এলাকাবাসী। তবে তারপরেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা থাকে। এদিকে পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে সঞ্জীবকে খুন করা হয়েছে। তার জন্য রাস্তার আলো নিভিয়ে দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়।  অন্যদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বিবাদের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। মদ্যপ অবস্থায় দুই গোষ্ঠীর লোকজন একে অপরকে হামলা চালায়। তার জেরেই এমন ঘটনা।

যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের নেতা তথা মন্ত্রী অরূপ চক্রবর্তী জানান, তৃণমূলের একটাই গোষ্ঠী আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই গোষ্ঠীর প্রধান আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন সেনাপতি। তৃণমূল কখনই এই ধরনের কাজকে সমর্থন করে না। তিনি আরও জানান, বাগুইআটি, জ্যাংরা, হাতিয়ারা এলাকায় বিজেপি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ফলে এই ঘটনার পিছনে ঠিক কারা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

2024-04-28T11:07:07Z dg43tfdfdgfd