WB RECRUITMENT SCAM: সুবীরশদের বিচার শুরুর অনুমতি দিতে কেন দেরি, মুখ্যসচিবের কাজে জবাব চাইল হাইকোর্ট

নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি পেতে কত দিন লাগবে? ৩ এপ্রিলের মধ্যে এই প্রশ্নের জবাব রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকাকে দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই দিনের মধ্যে কোনও জবাব দিতে না পারলে মুখ্যসচিবকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: সুজাতা মণ্ডলকে সেন্সর করল তৃণমূল কংগ্রেস, দলীয় বৈঠক থেকে জারি হয়েছে নির্দেশ

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছে, ২০২২ সালে তদন্তকারী সংস্থা অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি চেয়েছিল তারা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে মুখ্যসচিব অনুমতি দিলেও বাকি বেশ কয়েকজনের ক্ষেত্রে এখনও অনুমতি দেননি তিনি। যার ফলে নিম্ন আদালতে তাদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না।

শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোককুমার সাহার জামিনের মামলার শুনানিতে আদালত বলে, ‘কর্তব্যপরায়ণ সরকারি আধিকারিককে হেনস্থার হাত থেকে বাঁচাতে এই অনুমোদন গ্রহণের আইন রয়েছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশে যে তদন্ত হচ্ছে সেখানে হয়রানির অভিযোগ প্রযোজ্য নয়। যার ফলে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে অযথা এই দেরি দুর্ভাগ্যজনক। উচ্চতর সংস্থায় এই ধরণের দুর্নীতি জনগণের আস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। শুধুমাত্র সাজার মেয়াদকে দিয়ে এই ধরণের অপরাধের গুরুত্ব বোঝা যায় না। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।’

আদালত এদিন জানিয়েছে, কেন অনুমোদন দিতে দেরি হচ্ছে ও কত দিনে অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে তা ৩ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা আকারে জানাতে হবে মুখ্যসচিবকে। আর তা করতে ব্যর্থ হলে ওই দিন আদালতে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পদে পদে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আদালতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম অবস্থান নিয়ে সময় নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। যার জেরে দীর্ঘায়িত হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া। শাসকদলের একের পর এক নেতা - মন্ত্রী ও প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের গ্রেফতারিতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: মডিউল গড়ে নিয়োগ দুর্নীতি? 'জালি' চাকরির মাথা? কেষ্টর জেলার মন্ত্রীর বাড়িতে ED

বিরোধীদের দাবি, বর্তমানে প্রশাসন শাসকের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই পার্থক্য করা যাচ্ছে না প্রশাসনিক আধিকারিকদের। সেই আনুগত্যের পুরস্কার হিসাবেই দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া আটকে রেখেছে রাজ্য সরকার। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, আদালতের নির্দেশে কোনও তদন্ত হলে সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে কারও অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।

2024-03-22T09:09:22Z dg43tfdfdgfd