আইএসএফ–তৃণমূলের সংঘর্ষ, আক্রান্ত পুলিশ

এই সময়, ভাঙড়: ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে ভাঙড়। মঙ্গল ও বুধবার তিনটি ঘটনায় কাশীপুর, পোলেরহাট ও চন্দনেশ্বর থানা এলাকায় আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে। তাতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েক জন জখম হয়েছেন। এমনকী সংঘর্ষ থামাতে গেলে ইট ছোড়া হয় পুলিশকে। তাতে জখম হয়েছে পুলিশও। একটি ঘটনায় জয়নগরের আইএসএফ প্রার্থীও আহত বলে খবর।

বুধবার চন্দনেশ্বরে প্রচার করছিলেন জয়নগরের আইএসএফ প্রার্থী মেঘনাথ হালদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক গাজি সাহাবুদ্দিন সিরাজি-সহ অন্যরা। এ দিন মেঘনাথের নির্বাচনী প্রচারের গাড়ি যখন ঝিঁঝেরাইট এলাকায় যায় সেই সময় আইএসএফ প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। গাড়ির কাচ ভেঙে যায়।

অভিযোগ, মেঘনাথ ও সাহাবুদ্দিন সিরাজিকে জোর করে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করা হয়। বাধা দিলে দু’জনেই অল্প বিস্তর জখম হন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, নির্বাচনী প্রচারের নামে আইএসএফ বিভিন্ন ধরনের প্ররোচনামূলক কথা বলছিল। তৃণমূল কর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়।

আইএসএফ প্রার্থী মেঘনাথ হালদার বলেন, ‘প্রচারে গেলে তৃণমূল আমাদের উপর হামলা চালায়। গালিগালাজ করতে থাকে।’ অভিযোগ অস্বীকার করে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, ‘ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আসলে এ দিন যখন ওরা ওই এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে যায় তখন গ্রামের মহিলারা ওদের জিজ্ঞাসা করে এতদিন আপনারা কোথায় ছিলেন? এই নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ওদের ঝামেলা হয়। পুলিশ সামাল দিতে গেলে পুলিশও জখম হয়।’

এ দিন ভোগালি ১ অঞ্চলে আইএসএফ-তৃণমূলের মারামারিতে জখম হন উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, এ দিন দুই তৃণমূল কর্মী বাড়ি ফেরার সময় তাঁদেরকে লক্ষ্য করে গালাগালি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে মারামারি বেধে যায়। অন্যদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেঁওতা ১,২ অঞ্চলে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থী নুর আলম খানের নির্বাচনী প্রচার ছিল।

অভিযোগ, ওই নির্বাচনী প্রচার সেরে আইএসএফ কর্মীরা যখন বাড়ি ফিরছিল সেই সময় ওয়াড়ির কাছে আইএসএফ কর্মীদের কটূক্তি করেন তৃণমূল কর্মীরা। এই নিয়ে আইএসএফ কর্মীরা প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। পরে পোলেরহাট থানা দুজন আইএসএফ কর্মীকে আটক করে। যাদবপুরের আইএসএফ প্রার্থী নুর আলম খান কয়েকশো কর্মী-সমর্থক নিয়ে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান।

এই ধরনের আরও খবর জানতে এই সময়ে আসুন। লেটেস্ট নিউজ, শহরের তাজা খবর, দেশের খবর, ব্যবসার খবর, খেলার আপডেট, দৈনিক রাশিফল এবং লাইফস্টাইলের টিপস জানুন। আর ভিডিয়োর জন্য রয়েছে TimesXP

2024-05-09T12:28:59Z dg43tfdfdgfd