মমতার নির্দেশেই ভর্তি করা হয় পিজিতে, প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন কারা মন্ত্রী তথা বাম নেতা বিশ্বনাথ চৌধুরী। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই আজ শনিবার সকাল ৬.৪৫ টা নাগাদ প্রয়াত হন প্রাক্তন মন্ত্রী। বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে রাজনৈতিক মহলে। বাম নেতাদের পাশাপাশি শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর মৃত্যুতে আজ শনিবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরের অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: সাংসদকে পরিকল্পনা করে খুন দাবি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর, ধৃত ৩

জানা গিয়েছে, বেশ কয় বছর আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিশ্বনাথ চৌধুরী। ক্যানসার ধরা পড়ার পরেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু, সেখানে চিকিৎসা খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছিল না পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে। তখন খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বনাথ বাবুর চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী গত সপ্তাহে বিশ্বনাথ বাবুর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পেরেছিলেন। তারপরেই তিনি এসএসকেএম হাসপাতালের সুপারকে নিজেই ফোন করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দেন। গত কয়েকদিন ধরে সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু, শেষমেষ তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রাক্তন মন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে মমতা লেখেন, ‘রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরীর প্রয়াণে আমি দুঃখিত। উনি আমার বিরোধী রাজনীতি করলেও আমাদের সম্পর্ক খুব ভাল ছিল। তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়ে আমরা তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু কোনও প্রচেষ্টায় কাজে দিল না। এই দুঃখের দিনে আমি তাঁর পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মীদের আন্তরিক সহমর্মিতা জানাই। প্রাক্তন মন্ত্রীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ রাজ্যের যে সরকারি অফিস, আদালত, কর্পোরেশন রয়েছে সেখানে অর্ধদিবস ছুটি থাকবে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বনাথ চৌধুরী টানা ৭ বার বালুরঘাট থেকে আরএসপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। ৩৪ বছরের বাম আমলে প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের কারা ও সমাজ কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তবে ২০১১ সালে তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর চক্রবর্তীর কাছে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।

2024-07-27T08:57:10Z dg43tfdfdgfd