RABINDRANATH TAGORE EAST BENGAL : ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল রবি ঠাকুরের, কীভাবে জানেন?

বুধবার (২৫ বৈশাখ) গোটা দেশজুড়ে পালন করা হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্ন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সেই স্রোতে গা ভাসিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবও। দাবি করা হয়েছে, এই ক্লাবের সাফল্যে রবি ঠাকুরের এক বিশেষ অবদান রয়েছে। শুনে খানিকটা আশ্চর্য্য হলেন তো? তবে এটাই সত্যি। কিন্তু, কীভাবে? আসুন, তাহলে সেই গল্পটাই জেনে নেওয়া যাক।

আপনারা অনেকেই হয়ত ইস্টবেঙ্গলের কিংবদন্তী ফুটবলার সূর্য চক্রবর্তীর নাম শুনে থাকবেন। একটা সময় তিনি লাল-হলুদ ব্রিগেডের কার্যত প্রাণভ্রমরা ছিলেন। দলকে জিতিয়েছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খেতাব। কিন্তু, সেভাবে কখনই প্রচারের আলোয় উঠে আসেননি তিনি। আর এই বিখ্যাত ফুটবলারকে যিনি হাত ধরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে নিয়ে এসেছিলেন, তাঁর নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

কবিগুরুর জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বুধবার (৮ মে) ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছে। সেখানে লেখা রয়েছে, সূর্য চক্রবর্তীর উন্নতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান অনস্বীকার্য। সঙ্গে আরও যোগ করা হয়েছে, কবিগুরু শুধুমাত্র সূর্য চক্রবর্তীকে থাকতেই দেননি, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রেখে তাঁর পড়াশোনার বন্দোবস্তও করে দেওয়া হয়েছিল। এর পাশাপাশি তাঁকে দুখীরাম মজুমদারের ফুটবল কোচিংয়েও পাঠানো হত। পরে ১৯২৫ সালে তিনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন।

এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, সূর্য চক্রবর্তী ইস্টবেঙ্গলের একজন প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার। তিনি দলের সতীর্থদের শুধুমাত্র নিজের তাগিদে লড়াই করতে শেখাননি। শিখিয়েছিলেন দলের জন্য কীভাবে নিজের শেষবিন্দু উজাড় করে দিতে হয়। IFA আয়োজিত প্রথম কলকাতা ডার্বিতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন তিনি। এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল যে জয়লাভ করেছিল, সেটা তো আর আপনাদের আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার নেই। যদিও মোহনবাগানের তুলনায় এই দলটা ছিল অনেকটাই নতুন এবং যথেষ্ট অনভিজ্ঞ। যাইহোক, এরপর ভারতীয় ফুটবল দলের হয়েও টানা ১০ বছর খেলেন।

ক্লাবের প্রতি তাঁর এতটাই নিষ্ঠা ছিল যে লিলুয়া থেকে কলকাতা ময়দান পর্যন্ত হেঁটে ফুটবল অনুশীলন করতে আসতেন। অনেকেই বলেন যে বাংলার ফুটবলে তিনি সময়ের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন। সূর্য চক্রবর্তী প্রধাণত চারটে বিষয়ের উপর সবথেকে বেশি জোর দিতেন। দৌড়, বল নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা এবং পাসিং।

তবে এমন একজন মহান ফুটবলারের শেষ জীবনটা খুব একটা সুখকর হয়নি। শেষের বেশ কয়েকটা বছর তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিল। অবশেষে ১৯৭২ সালে প্রয়াত হন তিনি। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে, সূর্য চক্রবর্তীর অভাব ইস্টবেঙ্গল তথা ভারতীয় ফুটবলে কখনই পূরণ করা সম্ভব নয়। আর লাল-হলুদ মশালের আলোয় তাঁর কৃতিত্ব যে সবসময় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে, তা বলা যেতেই পারে।

এই ধরনের আরও খবর জানতে এই সময়ে আসুন। লেটেস্ট নিউজ, শহরের তাজা খবর, দেশের খবর, ব্যবসার খবর, খেলার আপডেট, দৈনিক রাশিফল এবং লাইফস্টাইলের টিপস জানুন। আর ভিডিয়োর জন্য রয়েছে TimesXP

2024-05-08T20:30:48Z dg43tfdfdgfd