KMC PURDAH FEE: কলকাতায় 'পর্দা লাইসেন্স ফি' নেয় পুরসভা, ব্যাপারটা কী? শুনে অবাক ফিরহাদ

শুক্রবার সাপ্তাহিক ফোন-ইন প্রোগ্রাম টক টু মেয়রে একজন ফোন করে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে জানান, তিনি পর্দা ফি দিতে অক্ষম। শুনে অবাক হয়ে যান মেয়র। কয়েক মুহুর্তের জন্য হতবাক হয়ে তিনি বলেন, তিনি ২৫ বছর ধরে কাউন্সিলর ছিলেন কিন্তু পরদা লাইসেন্স সম্পর্কে তিনি জানেন না। অফিসারদের কাছে তিনি জানতে চান, কী ওই ফি? ক'য়েকজন বলেন, এটি একটি ফি যা নাগরিক সংস্থা দোকান এবং ক্যাফেগুলির মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে সংগ্রহ করে।

অনেক দোকান তাপ এবং বৃষ্টির থেকে জানালা এবং দরজাগুলিকে রক্ষা করার জন্য বাইরে ছায়ার জন্য পর্দা টাঙ্গায়। পুরসভা ওই ধরনের দোকানের বাড়তি আচ্ছাদনের জন্য ফি নেয়। সেটাই হল পর্দা লাইসেন্স ফি। ক্যানভাস, টিন বা অন্যান্য উপকরণ তৈরি করা যেতে পারে সেই পর্দা। অনেক দোকান ফুটপাথ থেকে কয়েক ফুট উপরে এমনভাবে দোকানের নাম লেখা একটি বোর্ড তৈরি করে। তাদেরও সেই ফি দেওয়ার কথা।

শেড বা ছাউনিগুলি দোকানের বাইরে একটি এক্সটেনশন এবং ফুটপাথের ওপরে থাকে, যা একটি সর্বজনীন স্থান। পুরসভা দোকানের মালিকদের কাছ থেকে ওই চাদরের জন্য চার্জ করে। কারণ এগুলো দোকানের বাইরে।

কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, স্বাধীনতার আগে থেকেই ওই ফি কলকাতায় রয়েছে। আগে পুরসভা 'বেলিফ' নিয়োগ করত। যারা শহরের চারপাশে ঘুরতেন এবং ছাউনি দিয়ে দোকানগুলি চিহ্নিত করতেন।  বেলিফরা ছাউনির আকার পরিমাপ করে এবং ফি ঠিক করতেন। ছাউনির জন্য এখনও একটি ফি কাঠামো রয়েছে এবং এটি দোকানের মুখোমুখি রাস্তার প্রস্থের সঙ্গে বৃদ্ধি পায়। এখন ওই পদটি নেই। বদলে পরিদর্শন করেন পুরসভার কর্মীরা।

২০২১ সাল পর্যন্ত সমস্ত ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ অফলাইনে করা হয়েছিল। এবং পুরসভা প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছে শুধুমাত্র পর্দা লাইসেন্স ফি থেকেই। অনলাইন সিস্টেম চালু হওয়ার পর পর্দা লাইসেন্স ফি থেকে পুরসভার আয় কমে গেছে। কারণ ওই ফি অনলাইনে প্রদানের সিস্টেম এখনও চালু হয়নি।

২০২২-২৩ সালে পুরসভা প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা পর্দা ফি থেকে সংগ্রহ করেছিল। যারা এখনও পুরসভায় গিয়ে ট্রেড লাইসেন্স ফি দেন, তাঁরাই ছাউনির জন্য ফি প্রদান করেন। মেয়র জানিয়েছেন ওই প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ করা হবে। তিনি জানান, তিনি ২৫ বছর কাউন্সিলর ছিলেন, কিন্তু ওই ফি সম্পর্কে কোনওদিন শোনেননি। 

একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, কলকাতার সব দোকান থেকে যদি ওই ফি সংগ্রহ করা যায়, তাহলে প্রায় ৫ কোটি টাকা উঠে আসবে। বাড়বে রাজস্ব। কিন্তু পুরসভার কাছে পর্যাপ্ত পরিদর্শক নেই।

2023-06-10T05:58:57Z dg43tfdfdgfd