আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান: দামোদরের ভয়ঙ্কর রূপ থেকে বাংলাকে বাঁচাতে নেওয়া হয়েছিল পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। তৈরি হয়েছিল দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। দামোদরের জল সংরক্ষণ করতে তৈরি হয়েছিল মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ। কিন্তু যে জলাধারগুলি বাংলাকে বন্যা থেকে রোধ করতে তৈরি হয়েছিল, এখন সেগুলিই বাংলাকে ভাসিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ পরিস্থিতি এমন হল কেন?পরিকল্পনা ছিল, মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার তৈরি হওয়ার পরে দামোদরের আপার ক্যাচমেন্টে তৈরি হবে আরও পাঁচটি জলাধার। যার মধ্যে তিনটি জলাধার তৈরি হলেও, এখনও পর্যন্ত দু’টি জলাধার তৈরি করা যায়নি। ডিভিসির পরিকল্পনা, মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধারের উপর চাপ কমাতে দু’টি জলধার তৈরি করা হবে। পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১০০ কিলোমিটার আগে তৈরি হবে বোকারো ড্যাম। অন্যদিকে মাইথন জলাধার থেকে ৬০ কিলোমিটার আগে তৈরি হবে বলপাহাড়ি ড্যাম। কিন্তু তার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হারানোয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে বিরাট বদল! কীভাবে ফাইনালে উঠতে পারবে ভারত?কিন্তু কেন এই পরিকল্পনার এখনও সম্ভব হয়ে উঠছে না? কেনই বা আরও দু’টি বাঁধ তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইথন, পাঞ্চেতের মতো জলাধারগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচুর পরিমাণে পলি জমে আছে। তার ফলে জলাধারগুলির জলধারণ ক্ষমতা অনেকটা কমেছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারী বৃষ্টিপাত হলে সেই জল ড্যামের ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে জল ছাড়তে হচ্ছে হুহু করে। বাংলার আশীর্বাদের জন্য তৈরি ড্যাম হয়ে উঠছে বাংলার অভিশাপ।আরও পড়ুন: দিনে দিনে সস্তা হচ্ছে বাংলাদেশের টাকা, জানেন ভারতের ১০০ টাকা মানে বাংলাদেশের কত?মূলত বলপাহাড়ি এবং বোকারো ড্যাম যে জায়গায় তৈরি হবে, সেগুলি ঝাড়খন্ডে অবস্থিত। সূত্রের খবর, জমি জটের কারণে প্রস্তাবিত দুটি জলাধার তৈরির কাজ শুরু করতে পারছে না দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। ফলে দামোদরের আপার ক্যাচমেন্টে বৃষ্টি হলে বা তেনুঘাটের মতো জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়লে চাপ বাড়ছে মাইথন, পাঞ্চেত জলাধারে। তখনই জল ছাড়তে হচ্ছে। কিন্তু এই দু’টি বাঁধ তৈরি হলে আপার ক্যাচমেন্টে জল ধারণের ক্ষমতা বাড়বে। চাপ কম পড়বে দুর্গাপুর ব্যারেজের উপরেও। তখন স্বাভাবিকভাবেই ডিভিসির ছাড়া জলে বাংলাকে বানভাসি হতে হবে না।
2024-10-01T10:48:11Z dg43tfdfdgfd