সন্ধে হলে ছমছমে পরিবেশ, শালের জঙ্গল মুখরিত ঝিঁঝিঁর ডাকে, পুজোয় একরাত কাটিয়ে আসুন

ঝাড়গ্রাম: দুর্গাপুজোয় বাঙালির মন আবদ্ধ থাকতে চায় না চার দেয়ালের মধ্যে। সারাদিন ধরে হইচই খাওয়া-দাওয়া আর তার সঙ্গে রয়েছে নতুন নতুন জায়গায় বেড়াতে যাওয়া। কারও শহরের কোলাহলের মধ্যে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছে জীবনটা। কংক্রিট এর জঙ্গল ছেড়ে সবুজ শাল-পিয়ালের জঙ্গলে অনেকের থাকার ইচ্ছে রয়েছে, তাদের এবার সেই ইচ্ছেপূরণ হতে পারে এবারের পুজোর বেড়ানোর ট্রিপের মধ্য দিয়ে। কলকাতা থেকে খুব একটা দূরে নয় কাছেই রয়েছে আপনার গভীর শাল জঙ্গলে রাত্রিযাপনের সেরা ডিস্টিনেশন।ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠে ফুলবেড়িয়ায় শাল জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে কুটুমবাড়ি নামের একটি হোম-স্টে। শালের জঙ্গলের মধ্যে গ্রামীণ পরিবেশে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অ্যাসবেস্টরের ছাউনির বাড়ির ভেতরটা কিন্তু বিলাসবহুল। বাড়ির বাইরেই পুকুরের মধ্যে সারাদিন ধরে খেলা করে বেড়ায় হাঁসের দল। সবুজ শালের জঙ্গলে হরেক রকম পাখির আওয়াজ, রাত হলেই ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজে পর্যটকদের মন হয়তো হারিয়ে যাবে এই অরণ্য সুন্দরীর বুকেই। বাচ্চাদের খেলার জন্য রয়েছে নানা সামগ্রী।আরও পড়ুনঃ পুজোর ছুটি একটু অন্যভাবে কাটাতে চান? ট্রেকিংয়ের জন্য বাছুন এই রুট, বাড়ি যেতে মন চাইবে নানিজের পছন্দমত সকালের খাবার থেকে শুরু করে রাত্রের খাবার সবই পাওয়া যায় এই হোম-স্টেতে। বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে শালপাতায় পোড়া মাংস। বেশ কয়েকটি জঙ্গলমহলের খাবারের স্বাদও মিলবে। কলকাতা থেকে কীভাবে পৌঁছবেন এই ঠিকানায়? আপনাকে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে সোজা চলে আসতে হবে ঝাড়গ্রাম। ঝাড়গ্রামে নেমে টোটো ধরে মাত্র ১০ মিনিটের রাস্তা। আপনি পৌঁছে যেতে পারেন কুটুমবাড়ি।আরও পড়ুনঃ বাইকে পাহাড় ঘোরেন? কার্শিয়ংয়ের এই জায়গা বাইকারদের নতুন ঠিকানা! পুজোয় ঘুরে আসুনব্যক্তিগত গাড়িতে যদি ঝাড়গ্রাম আসেন, তাহলে ঝাড়গ্রাম শহরে ঢোকার মুখেই সাবিত্রী মন্দির থেকে ডানদিকে নিয়ে তিন মিনিটের রাস্তা। আসার আগে আপনি চাইলে অগ্রিম বুকিং ও করে আসতে পারেন। কুটুমবাড়িতে ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আপনি বুকিং করতে পারেন। তাদের বুকিং নম্বরটি হল-৯৪৭৪০১৯৪০৮ / ৮২৫০৭৩৩১২১ অথবা আপনি ই-মেলের মাধ্যমে বুকিং করতে পারেন। কুটুমবাড়ির ই-মেল আইডি- [email protected]।কুটুমবাড়ি হোমস্টের কর্ণধার অভিজিৎ রায় বলেন, “জঙ্গলমহলের অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রামের টানে সারা বছর পর্যটক বেড়াতে আসছে ঝাড়গ্রাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় পর্যটকরা বেড়াতে এসে জঙ্গলমহলের সেই ফিলিংসটা পাচ্ছিল না। তাই শালের জঙ্গলে পর্যটকদের থাকার জন্য জঙ্গলের একটি প্রান্তে এই হোমস্টেটা তৈরি করা। শহরের কোলাহল থেকে পরিবেশটা একেবারেই আলাদা। এখানে রাতে না থাকলে কেউ সেই আমেজ অনুভব করতে পারবে না। যে সমস্ত পর্যটকরা একবার বেড়াতে আসে তারা এখানে বার বার ফিরে আসে”।বুদ্ধদেব বেরা

2024-10-01T14:33:11Z dg43tfdfdgfd