AMIT SHAH : ফের নিহত ১, ২৯ তারিখ থেকে ৩ দিন মণিপুরে শাহ

ইম্ফল ও গুয়াহাটি: বুধবারের পরে বৃহস্পতিবারও মণিপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষে এক জনের জীবনহানি ঘটেছে। এই নিয়ে সরকারি ভাবে সংখ্যাটা পৌঁছল ৭৩-এ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ দিনই প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুললেন উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে। এক অনুষ্ঠানে তিনি মেইতেই ও কুকি - যুযুধান এই দুই গোষ্ঠীকেই অনুরোধ করেন সংযত হতে।

বলেন, 'খুব তাড়াতাড়ি আমি মণিপুরে যাব। সকলের কথা শুনব। দয়া করে অশান্তি থামান।' তিনি আগামী ২৯ মে থেকে ১ জুন মণিপুর সফর করবেন বলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এ দিন জানিয়েছেন। নিত্যানন্দ এ দিনই মণিপুর গিয়ে পৌঁছেছেন। কিন্তু শাহের সফর কতটা শান্তি ফেরাতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

গত শনিবার থেকেই ইম্ফল-সহ একাধিক জায়গায় ফের হিংসা ছড়ায়। সোমবার সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল হতেই মেইতেইরা কুকিদের আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। পাল্টা তারাও রুখে দাঁড়ায়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়ি-গাড়ি-দোকান-বাজার। সেনা ও আধাসেনা মিলে বহু কষ্টে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মাঝখানে মঙ্গলবার বড় কিছু না হলেও উত্তেজনা ছিলই। বুধবার তা ছড়িয়ে পড়ে ওই রাজ্যের বিষ্ণুপুর অঞ্চলে। সেখানে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। তখন এক স্থানীয় তরুণের মৃত্যু হয়। এ দিনও ফের আর এক জন 'দুষ্কৃতীদের গুলিতে' মারা যান। বহু জায়গায় ঘর-বাড়ি-দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রেই সেনা-পুলিশের সামনেই দুই গোষ্ঠীর লোকেরা মারামারি করছে। কিন্তু তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও সেনার নিয়ন্ত্রণে। রয়েছে আধা সেনাও। তারপরও হিংসা না থামার পিছনে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অভাবকেই দায়ী করেছে বিভিন্ন মহল।

এ দিন শাহ বলেন, 'কোর্টের একটি রায়কে ঘিরে এই অশান্তি শুরু হয়েছে। এটা কাঙ্ক্ষিত নয়। আমি তিন দিন থেকে পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখব। সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব। কিন্তু শান্তি তো ফেরাবেন রাজ্যের মানুষ। পরস্পরের সঙ্গে কথা বলা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।' চলতি মাসের শুরুতেই এই অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকে মেইতেই-কুকিরা কোনও আলোচনায় বসেনি। ইতিমধ্যেই বিজেপির ৭ জন বিধায়ক-সহ ১০ জন জনজাতি সম্প্রদায়ের বিধায়ক আলাদা মণিপুর রাজ্যের দাবি করেছেন। একই দাবি তুলেছে জনজাতিদের সংগঠন আইটিএলএফ-ও।

এই অশান্তির জেরে রকেট গতিতে বেড়ে চলছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দামও। খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে চাল, ডাল তো বটেই, আলু সমেত নানা সবজির দাম দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে। হু হু করে বেড়েছে পেট্রোলের দাম। ইম্ফলের পশ্চিমপ্রান্তে পেট্রোলের দাম ১৭০ টাকা প্রতি লিটার। আলুর দাম ১০০ টাকা প্রতি কিলো। ৩০টি ডিম ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মণিপুরে। উল্লেখ্য, যে সমস্ত জায়গা মণিপুরে হিংসার কবলে নেই, সেই সমস্ত জায়গাতেও একই ভাবে দাম বাড়ছে।

2023-05-26T03:18:16Z dg43tfdfdgfd