চাকরি-টাকাপয়সার সমস্যার সমাধান এক নিমেষে; শুধু গুপ্ত নবরাত্রির সময় গোপনে করুন এই ৪টি কাজ
সনাতন ধর্মে নবরাত্রির এক বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। নবরাত্রিতে নয় দিন ধরে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে মা জগদম্বার পূজা করা হয়। যাঁরা তন্ত্র সাধনা শেখেন, তাঁদের জন্য গুপ্ত নবরাত্রিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই সময়ে মা দুর্গার ১০টি মহাবিদ্যার পূজা অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে করা হয়ে থাকে। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, আষাঢ় মাসের গুপ্ত নবরাত্রি চলতি বছর আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এবং তা শেষ হবে আগামী ৪ জুলাই। হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, গুপ্ত নবরাত্রির এই সময়টিকে তন্ত্র সাধনা, শক্তির আরাধনা এবং বিশেষ মন্ত্র সিদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে গণ্য করা হয়। অযোধ্যার একজন জ্যোতিষী পণ্ডিত কল্কি রাম বলেন যে, গুপ্ত নবরাত্রির দিনগুলিতে মাতা রানির ১০টি মহাবিদ্যার আরাধনা করা হয়। গুপ্ত নবরাত্রির সময় কিছু বিশেষ প্রতিকার পালন করলে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে এবং বিবাহিত জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। এর পাশাপাশি সন্তান সুখও লাভ করা যায়। কোন কোন প্রতিকার অবলম্বন করলে এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, সেটাই আজকের প্রতিবেদনে বিশদে আলোচনা করে নেওয়া যাক। গুপ্ত নবরাত্রির কিছু প্রতিকার:১. যদি কেউ আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হন, তাহলে গুপ্ত নবরাত্রির প্রথম দিনে একটি লাল কাপড়ে চাল এবং কড়ি বেঁধে সেটা নিজের বাড়ির সিন্দুকের মধ্যে রাখা উচিত। সেই সঙ্গে রীতি মেনে ৯ দিন ধরে এর পূজা করা উচিত। এরপরে নবরাত্রির নবম দিনে এটি উঠোনে রাখা উচিত। এটি করলে সম্পদ অর্জনের পথ খুলে যায়। ২. যদি কেউ নিজেদের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আনতে চান, তাহলে গুপ্ত নবরাত্রির দিনে মা দুর্গার মন্ত্র জপ করা উচিত। সেই সঙ্গে দুর্গা সপ্তশতী পাঠ করা উচিত। এটি করলে সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। ৩. যদি বিবাহে কোনও বাধা থাকে এবং ভাল জীবনসঙ্গীর সন্ধান না মেলে, তাহলে গুপ্ত নবরাত্রির সময় পূজা করার সময় মা দুর্গার মন্ত্র জপ করা উচিত। এতে বিবাহ সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা দূর হবে। ৪. যদি কেউ নিজের চাকরিতে পদোন্নতি পেতে চান, তাহলে গুপ্ত নবরাত্রির সময় ভগবান হনুমানজির উদ্দেশ্যে পান এবং দেবী দুর্গার উদ্দেশ্যে এলাচ ও চিনির মিছরি নিবেদন করতে হবে। এটি করলে জীবনের সকল ধরনের সমস্যা দূর হয়। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
2025-06-23T03:54:20Z
Donald Trump: ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ABP Ananda LIVE: ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা শক্তিধর ইজরায়েলের পক্ষে করা সম্ভব হচ্ছিল না, তাই সম্ভব করতে ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে বাঙ্কার বাস্টার এবং B-2 স্পিরিট স্টিলথ বোম্বার ব্যবহার করল মহাশক্তিধর আমেরিকা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বলছে, পাহাড়ের নীচে থাকা ইরানের ফোরদো পারমানবিক কেন্দ্রে ৬টি বাঙ্কার বাস্টার বোমা ফেলেছে আমেরিকার B-2 স্পিরিট স্টিলথ বোমারু বিমান। এই অপারেশনের তারা নাম দিয়েছিল 'মিডনাইড হ্যামার'। আমেরিকার এই হামলার পর প্রশ্ন উঠছে, এবার কী করবে দুই শক্তিধর দেশ - রাশিয়া ও চিন? ভ্লাদিমির পুতিন ও শি জিনপিং সরাসরি ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবে? নাকি, ইরানকে অস্ত্র সাহায্য করে ঘুরপথে আমেরিকাকে শায়েস্তা করার চেষ্টা করবে? এই প্রেক্ষাপটে বিস্ফোরক দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও বর্তমান নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্য়ান দিমিত্রি মেদভেদেভ। তাঁর দাবি, 'ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে রাজি বহু দেশ। শান্তির দূত বলে পরিচিত ট্রাম্প আসলে আর একটা যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছেন। মার্কিন হামলা ইরানের পরমাণু পরিকাঠামোয় কোনও কার্যকর ক্ষতি করতে পারেনি। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে।' ইরানের উপর হামলায় রাশিয়া যে চরম ক্ষুব্ধ তা স্পষ্ট করে দিয়ে আমেরিকান বিমান হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের 'চরম লঙ্ঘন' এবং 'দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ' বলে কড়া বিবৃতি জারি করেছে রুশ বিদেশমন্ত্রক। তারা বলেছে, 'এটা ইতিমধ্য়েই স্পষ্ট যে এক ভয়ানক উত্তেজনার সূত্রপাত হল। যা আঞ্চলিক এবং বিশ্বের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকি হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।' এই আবহেই সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। অন্যদিকে, চিনের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএন-এ বলা হয়েছে'আমেরিকা কি ইরাকের ভুল ইরানে পুনরাবৃত্তি করছে?' সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগেই, চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং সব পক্ষকে, বিশেষ করে ইসরায়েলকে "শত্রুতা বন্ধ করার" আহ্বান জানিয়েছিলেন। একইভাবে, বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমেরিকার হস্তক্ষেপ পুরো পরিস্থিতিতে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। এমনকী নতুন একটি যুদ্ধ পরিস্থিতির ভিত্তি তৈরি হতে পারে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি। এখন ইজরায়েল বুঝে গেছে যে আমেরিকা ওদের সঙ্গে রয়েছে। আমেরিকা, ইজরায়েলের সমর্থকরা জেনে গেছেন। এখন বিশ্ব ২টি অংশে ভাগ হয়ে গেছে বলে দেখা যাচ্ছে। একটা চিন-রাশিয়া লবি, আরেকটা আমেরিকা এবং তাদের জোটেদের লবি। আগামী দিনে চিন ও রাশিয়ার ভূমিকা কী হয় তার উপর নির্ভর করছে গোটা বিশ্বের ভাগ্য।
2025-06-23T02:13:10Z