কোচবিহারে পাঁচ শতক প্রাচীন দুর্গাপুজোয় দেবীর মূর্তি নির্মাণে পালিত বিশেষ প্রথা

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: রাজ আমলের কোচবিহারে সূচনা হয়েছিল কোচবিহারের বড় দেবীর পুজোর। সেই পুজো আজকে প্রায় দীর্ঘ ৫০০ বছরের পুরন। এখনও সেই প্রাচীন রীতি ও প্রথা মেনে পুজো করা হচ্ছে বড় দেবীর। কোচবিহারের দেবী বাড়ির মন্দিরে রাজ আমলের প্রথা মেনে মূর্তি নির্মাণ করা হয় বড় দেবীর। আর তারপর সেখানেই পুজো করা হয় দুর্গা পুজোর সময়। দীর্ঘ সময়ের প্রাচীন এই পুজোকে কেন্দ্র করে দূর-দূরান্তের বহু ভক্তবৃন্দ সমাগম ঘটে। তবে এই দেবীর মূর্তি নির্মাণে বিশেষ কিছু প্রথা রয়েছে।

দীর্ঘ সময়ের বংশ-পরম্পরায় বড় দেবীর মূর্তি তৈরি করার কারিগর প্রভাত চিত্রকর জানান, “ময়নাকাঠের শক্তি দণ্ডের উপর ভিত্তি করে দেবীর মূর্তি নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। খড়, বাঁশ, সুতো এবং মাটি দিয়েই হয় এই প্রতিমা নির্মাণ। তবে এসবের মধ্যেও রয়েছে রীতি ও নিয়ম। যেমন দেবীর প্রতিমা নির্মাণ বংশ পরম্পরায় তাঁরাই করে আসছেন। দেবীর রূপ পরির্বতন হয় না। ময়নাকাঠের শক্তি দণ্ড ছাড়া দেবীর মূর্তি নির্মাণ হবে না। চামট এলাকার মাটি ছাড়া দেবীর প্রতিমা অসম্পূর্ণ থাকবে। মোট তিন ধরনের মাটি দেওয়া হয় দেবীর প্রতিমায়।”

কোচবিহার মদনমোহনবাড়ির দেওড়ি অমর কুমার ঘোষ জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে কোচবিহারের বলরামপুরের চামটা এলাকার মাটি ছাড়া দেবীর মূর্তিতে মাটির প্রলেপ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয় না। এই মাটি আনতে আগে সেখানে বিশেষ পুজো করে তারপর আনতে হয়। সেই প্রথা দীর্ঘ রাজ আমল থেকেই চলে আসছে। এছাড়া দেবীর পুজোর মধ্যেও রয়েছে বিশেষ কিছু বিষয়। যেই বিষয়গুলি এই দেবীর পুজোকে আর পাঁচটা দুর্গা পুজোর চাইতে আলাদা করে তোলে। তাই তো বহু মানুষের ভিড় জমে এই বড় দেবীর পুজোয় প্রতি বছর।”

আরও পড়ুন : চলছে আশ্বিন মাস! এই খাবারগুলি খেলেই রোগে দেউলিয়া হয়ে যাবেন! জানুন পঞ্জিকার মত

জেলা কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী বড় দেবীর পুজো উপলক্ষে প্রায় সারা বছর ধরেই অপেক্ষা করতে থাকে কোচবিহারের মানুষেরা। দীর্ঘ রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো দূরদূরান্তের বহু মানুষের নজর আকর্ষণ করে। তাইতো কোচবিহারের এই পুজোয় শুধুমাত্র কোচবিহারবাসী নয়, বাইরেরও বহু মানুষেরা ঘুরতে আসেন।

2024-09-19T12:28:10Z dg43tfdfdgfd