আগরতলা: ‘‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিরোধীদের পায়ের তলায় জমি নেই, মানুষকে বিভ্রান্ত করাই তাদের মূল লক্ষ্য ৷’’ দ্বিতীয় দফার ভোট প্রচারে বেরিয়ে এমনটাই বলছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ৷ তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীদের কাছে কোনও ইস্যু নেই। তাদের পায়ের তলায় এখন আর জমি নেই। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। দেশের কল্যাণে ও মানুষের কল্যাণে বিগত ১০ বছর ধরেই তিনি নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত করতে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’
লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে উত্তর জেলার পানিসাগরে আয়োজিত সুবিশাল নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। বিজেপির পানিসাগর মন্ডলের উদ্যোগে এই নির্বাচনী সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পানিসাগরে ইতিমধ্যেই জুডিশিয়াল কোর্ট, নতুন ব্লক ভবন এবং ডিগ্রি কলেজ স্থাপনের জন্য আর্থিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। আসন্ন ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অন্যান্য নির্বাচনের মতো ভাবলে হয়তো ভুল হবে। আমাদের সকলকে এই নির্বাচনকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে এসে সম্বোধন করে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন মানুষের কাছে গিয়ে বলতে যে, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের আশীর্বাদ চাইতে আমাদের পাঠিয়েছেন। গত ১০ বছরে দেশের মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কাজ করেছেন তিনি। মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কী করেন নি তিনি।’’
মুখ্যমন্ত্রী ড. সাহা এদিন আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে ২০১৮ সালে আমরা বামেদের কুশাসন থেকে মুক্ত হয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ-সহ অজস্র অভিযোগ ছিল। সেই অপশাসন থেকে আমাদের মুক্তি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সমগ্র ত্রিপুরাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কোটি কোটি প্রণাম। গণতন্ত্রের মাধ্যমে কীভাবে নির্বাচন করতে হয় সেটা আমরা করে দেখিয়েছি। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং বক্সনগর ও ধনপুরের উপনির্বাচন কোন ধরণের অঘটন ছাড়াই একেবারে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ত্রিপুরায় ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি ও তার নেতৃত্ব কখনো অশান্তিকে সমর্থন করে না। আজকে প্রথম দফার নির্বাচনেও মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। চারদিকেই সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ ভোট দিয়েছেন। অথচ এই ভোট নিয়ে বিরোধী দলের কিছু নেতা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে নানা অভিযোগ উত্থাপন করছেন। কারণ তাদের পায়ের তলায় জমি নেই। তাই পরিকল্পনা মাফিক বিভ্রান্তি তৈরি করতে এসব অভিযোগ তুলছেন তারা। আর এটাই তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’’
2024-04-20T03:43:54Z dg43tfdfdgfd