রাস্তা বন্ধ থাকায় মেয়ের টিউশনির টাকা দিতে পারছেন না মা!

বাঁকুড়া: শহর সংলগ্ন ময়রাবাঁধ এলাকার রেল আন্ডারপাসের রাস্তা ঘিরে দুর্ভোগের শেষ নেই সাধারণ মানুষের। ৮ থেকে ৮০ সকলেই অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা পার হচ্ছেন। রবিবার একজন সবজি বিক্রেতা পড়েও যান। যদিও তিনি এখন সুস্থ আছেন। ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ থেকেই আন্ডার পাশের রাস্তা তৈরির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় মুখ্য রাস্তাটি। সেই শুরু দুর্ভোগের, যা আজও বহমান। বর্তমানে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে, কিন্তু এলাকার মানুষ জীবন জীবিকার স্বার্থে কোনক্রমে করছেন পারাপার।

লোকসভা নির্বাচনের গরমের পাশাপাশি বাঁকুড়ায় তীব্র দাবদাহ চলছে। তার মধ্যে এই এবড়ো খেবড়ো উঁচু ধুলোময় রাস্তা পেরিয়ে ওষুধ কিনতে হোক কিংবা বাজার করতে, যে কোন প্রয়োজনে যেতে হচ্ছে গ্রামের মানুষকে। চোখের জলে নাকের জলে হচ্ছেন বয়স্করা। কেউ অসুস্থ হলে কোলে করে তুলে নিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যেরও।

আর‌ও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জমানো টাকায় তৃষ্ণা মিটছে পথিকের

পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও ক্যামেরা দেখে এগিয়ে এলেন তাঁদের সমস্যার কথা বলতে। আন্ডার পাসের রাস্তার কাজের জন্য ব্যবসায় মন্দার কারণে সন্তানের টিউশনির টাকা দিতে পারছেন না এক মহিলা। আমাদের সামনে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। আবার কেউ বলছেন রাস্তার কাজে মাটি কাটার জন্য বাড়িতে তৈরি হয়েছে ফাটল, ফলেই ভয়ে ভয়ে কাটছে জীবন। এছাড়া পা মচকে গিয়ে দুর্ঘটনা রোজকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ময়রাবাঁধের দিকের আন্ডারপাস সংলগ্ন নির্মল গড়াইয়ের মিষ্টির দোকান। একসময় ভিড়ে ঠাসা ছিল এই দোকান। কিন্তু একবছরে সবকিছু পাল্টে গিয়েছে। ব্যাবসায় মন্দা এসেছে, বিক্রি কমে চার ভাগের একভাগ হয়ে গিয়েছে। ২০২৩ সাল থেকেই যেন ময়রাবাঁধ আন্ডারপাশ সংলগ্ন মানুষের জীবন পাল্টে গেছে সম্পূর্ণভাবে। মানুষগুলো যেন ক্রমশ অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছেন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

2024-04-29T14:27:38Z dg43tfdfdgfd