পুরুলিয়ার রাস্তায় আচমকা নামল বিরাট প্লেন! ছুটতে ছুটতে দেখতে এলেন গ্রামবাসীরা!
*পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির মধ্যে প্রায়শই নাম শোনা যায় জেলা পুরুলিয়ার। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নতি হচ্ছে এই জেলার। বিগত ১০ বছরে এই জেলার চেহারাটা অনেকখানি পরিবর্তন হয়েছে। এখানে একে একে গড়ে উঠেছে নামিদামি হোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ ও একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। যাকে ঘিরে সার্বিকভাবে জেলার উন্নয়ন হচ্ছে। প্রতিবেদন ও ছবিঃ শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়। *এবার এই জেলাতেই প্রথমবার তৈরি হচ্ছে এয়ার প্লেন রেস্টুরেন্ট। একটি বেসরকারি সংস্থা নিজ উদ্যোগে এই রেস্তোরা তৈরি করছে। পুরুলিয়ার বেল কুঁড়িতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে এই রেস্টুরেন্টের ককপিট। রীতিমতো ভিড় করে মানুষজন সেই ককপিট দেখছেন। *দিল্লির এয়ার ইন্ডিয়া থেকে এই ককপিটটি আনা হয়েছে। প্রথমে এই ককপিটটি পটনা এসেছে এবং পাটনা থেকে পুরুলিয়া নিয়ে আসা হয়েছে। এই ককপিট পুরুলিয়া আনতে সময় লেগেছে ৩ মাস। বাইরোড এটি আনা হয়েছে পুরুলিয়ায়। *এ বিষয়ে ওই রেস্তোরার চেয়ারম্যান শিতিস সিনহা বলেন, এই ককপিট রেস্তোরায় মানুষ ভার্চুয়ালের মাধ্যমে বিমানে ওঠার অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করতে পারবে। জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে এন্ট্রি ফি লাগবে এই রেস্তোরাঁয় ঢোকার জন্য। পরবর্তীতে রেস্তোরাঁ বিলের সঙ্গে সেই টাকা রিডিম করে দেওয়া হবে। প্রতিবেদন ও ছবিঃ শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়। *এ ছাড়াও থ্রিডি শো-য়ের ব্যবস্থা থাকবে যেখানে একেবারে ভার্চুয়ালি প্লেন চালানোর অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন রেস্টুরেন্টে আসা কাস্টমাররা। এইরকম রেস্তোরা বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার কোথাও নেই। তাই মানুষের একেবারে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হবে। *এ প্রসঙ্গে ককপিট দেখতে আসা উৎসুক জনতা বলেন, পুরুলিয়ায় কোনওদিনই তারা প্লেন দেখেননি। তাই তারা উৎসাহিত হয়ে এই প্লেন দেখতে আসছেন। এই ধরনের রেস্তোরাঁ পুরুলিয়া কখনও হয়নি। আগামী দিনে এই রেস্তোরাঁয় তারা অতি অবশ্যই আসবে। প্রতিবেদন ও ছবিঃ শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়। *সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ২০২৪-র দুর্গাপুজোর মধ্যেই এই প্লেন রেস্টুরেন্টের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে জেলা পুরুলিয়া-সহ পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ। *এই রেস্টুরেন্টে কর্মরত সদস্যরা প্লেনের স্টাফেদের মতনই ড্রেস কোড থাকবে। থাকবে এয়ার হোস্টেস। ইন্ডিয়ান, কন্টিনেন্টাল, চাইনিজ সমস্ত খাবারের ব্যবস্থা থাকবেই রেস্তোরাঁয়। স্টাফ প্রায় ৩০ জন। একেবারেই অন্যরকম অভিজ্ঞতা পাবে সকলে। প্রতিবেদন ও ছবিঃ শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2024-05-09T12:30:39Z