সিদ্ধেশ্বরী রূপে পূজিতা দেবী, ২০০ বছরের প্রাচীন মন্দিরে ভক্ত সমাগম দুর্গাপুজোয়

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: জেলায় রাজ আমল এবং তার থেকেও পুরনো বহু প্রাচীন মন্দির ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। আর এই মন্দির গুলো বছরের বিভিন্ন সময়ে বহু পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এমনই এক প্রাচীন মন্দিরের নাম সিদ্ধেশ্বরী মন্দির। আর এই মন্দিরের নাম থেকেই গ্রামের নাম হয়েছে সিদ্ধেশ্বরী। জেলা কোচবিহারের বাণেশ্বর এলাকার বাণেশ্বর শিব মন্দিরের পাশ দিয়েই রয়েছে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে আসার রাস্তা। এই মন্দিরে দেবী দুর্গাকে সিদ্ধেশ্বরী রূপে পুজো করা হয়ে থাকে। তাই দুর্গা পুজোর সময় এখানেও দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়।

সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত ধীরেশ্বর দেবশর্মা জানান, ‘‘মন্দিরের সূচনা লগ্ন থেকেই দেবী দুর্গাকে সিদ্ধেশ্বরী রূপে পুজো করা হচ্ছে এখানে। তবে এই মন্দিরের একটি বিশেষ নিয়ম রয়েছে। মন্দিরের সূচনা লগ্ন থেকে এই মন্দিরে কোনওদিন প্রতিমা পুজো হয়নি। শুরুর সময় থেকেই ঘটের মধ্যে দুর্গার পুজো করা হয়ে থাকে এখানে। তবে ঘটের মধ্যে করা হলেও, পুজোয় জাঁকজমক থাকে অনেকটাই। গোটা গ্রামের মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই পুজোয় যোগদান করে থাকেন। যদিও বর্তমান সময়ে এই পুজোর সমস্ত দায়িত্ব পালন করে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড।’’

আরও পড়ুন : ছাতা তুলে ধরলেন ‘একদিনের রাজা’! ভাদ্র সংক্রান্তিতে পুরুলিয়ায় পালিত মানভূমের প্রাচীন রীতি

এলাকার দুই স্থানীয় বাসিন্দ কার্তিক বর্মন ও চারুবালা রায় জানান, ‘‘ রাজ আমল থেকেও পুরনো এই মন্দির। এই মন্দিরের স্থাপনের বিষয় নিয়ে এখনোও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। শুধু জানতে পারা যায় এই মন্দির বাংলার ১২৮৪ সালে প্রথমবার মেরামতি করা হয়েছিল। তাই মনে করা হয় এই মন্দির সেই সময়ের আগেও এখানে ছিল। বর্তমান সময়ে এই মন্দিরে দুর্গাপুজোর সময় প্রচুর মানুষের ভিড় জমে। স্থানীয় মানুষেরা যেমন এই পুজোয় আসেন, তেমনই দূর-দূরান্তের মানুষও এই মন্দিরের পুজো দেখতে ভিড় জমান এখানে। পুজোর দিনে এখানে প্রচুর খিচুড়ি বিতরণ করা হয়।”

জেলা কোচবিহারের এই অতি প্রাচীন মন্দির জেলার বহু পর্যটকদের আকর্ষণ করে থাকে। তাই এবার দুর্গা পুজোর ছুটিতে প্রাচীন দুর্গা পুজো এবং ইতিহাসের খোঁজে এই সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের ঘুরতে আসতে পারেন। একেবারে অন্যরকম এক অনুভূতির সাক্ষী থাকতে পারবেন এই মন্দিরে এলেই।

2024-09-18T12:27:48Z dg43tfdfdgfd