'সব দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে' নবম দিনেও রাস্তায় ধর্নায় জুনিয়র চিকিৎসকরা, আবার হতে পারে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক?

ঝিলম করঞ্জাই , কলকাতা : আর জি কর মেডিক্যালে সিসিটিভি থকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, চিকিৎসকদের জন্য বিশ্রামাগার, শৌচালয় থেকে ফিয়ার সাইকোসিস  , সবকিছু নিয়েই মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য। জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিতে চান, কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে এখনও সুনিশ্চিত হতে পারছেন না তাঁরা।  জুনিয়র চিকিৎসকরা মনে করছেন এই ঘটনায় এমন অনেকেই জড়িত আছে, যারা এখনও হাসপাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন যদি তাঁরা হাসপাতালে কাজে ফেরেন তাহলে তাঁদের সুরক্ষা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। এখনও ভয়ের পরিবেশ বর্তমান বলে উল্লেখ করেন আইনজীবী। সেই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দেন, কবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না,  জুনিয়র চিকিৎসকরা জেনারেল বডি মিটিং করবেন, সেই মতোই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । এরপরই জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন মঙ্গলবারই। 

বুধবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নার ৯ দিন। গত ৪০ দিন ধরে আন্দোলনে করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। চিকিৎসকরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন,সব দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। রাজ্যের পক্ষে দাবি করা হচ্ছে,  জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ফলে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কিন্তু সিনিয়র চিকিৎসকরা ওভারটাইম ডিউটি করছেন। সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী এই কথা জানান সুপ্রিম কোর্টকে। এই পরিস্থিতিতে বারবার করে জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার প্রসঙ্গেই জোর দেওয়া হয় আদালতে। শীর্ষ আদালতও রাজ্যকে প্রশ্ন করে, নিরাপত্তা বাড়ানোর যে নির্দেশ আমরা দিয়েছিলাম সেটার কী হল?

আন্দোলনের চাপে প্রশাসনে কী কী রদবদল

আর জি কর-কাণ্ডে আন্দোলনের চাপে বিনীতকে সরিয়ে কলকাতায় নতুন CP হলেন মনোজ ভার্মা। অভিষেক গুপ্তর জায়গায় ডিসি নর্থ হলেন দীপক সরকার। অভিষেক গুপ্তকে পাঠানো হয় EFR সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নের CO করে । জ্ঞানবন্ত সিংহ হলেন এডিজি আইবি। জাভেদ শামিম হলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা। কিন্তু স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণের দাবিতে এখনও অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। ছাত্র সংসদ গঠন ও হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এখন পদক্ষেপ চান আন্দোলনকারীরা। ফের রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে রাজ্যভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠনের নোটিস জারি করতে হবে। প্রত্যেক কলেজে টাস্ক ফোর্সে রাখতে হবে পড়ুয়া-প্রতিনিধিদের। তৈরি করতে হবে রেসিডেন্সিয়াল ডক্টর্স

অ্যাসোসিয়েশন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নতুন ভাবে রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন করতে হবে। এই বিষয়গুলিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়ে ফের চিঠি পাঠাতে পারেন জুনিয়র ডাক্তাররা। 

আরও পড়ুন : 

বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের মুখে রিজওয়ানুর কাণ্ড, তাতেই কি বিনীতকে সরালেন মমতা?

2024-09-18T04:14:42Z dg43tfdfdgfd