‘৩৭০ ধারা ফিরিয়ে এনে দেখাক’,বিরোধীদের খোলা চ্যালেঞ্জ মোদির, স্পষ্ট কথা CAA নিয়েও

নয়াদিল্লি:  ‘‘কংগ্রেস বা অন্য কোনও দল যদি পারে, ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে এনে দেখাক”। নিউজ 18 নেটওয়ার্ককে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই ভাষাতেই বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, সিএএ কেন্দ্রের বিষয়, রাজ্যের নয়।

জম্মু ও কাশ্মীরের নেতারা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগুর অনুমতি তাঁরা দেবেন না। এই প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “প্রথমত, যাঁরা সংবিধান বোঝেন, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সম্পর্কে জানেন এবং কার কতটা এখতিয়ার, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে, তাঁরা কখনও এই ধরনের মন্তব্য করবেন না। কারণ এটা তাঁদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। মোদি যদি কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন, তিনি এমন কাজ করতে পারেন না। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ। রাজ্যের পরিধির মধ্যে যা আসে, সেটা রাজ্য সরকার দেখবে। কিন্তু মানুষকে বোকা বানানোটা আজকাল ট্রেন্ড – তাঁদের অন্ধকারে রাখা। এই কারণেও ওঁরা এসব বলছে”।

এরপর ৩৭০ ধারা নিয়ে কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলিকে চ্যালেঞ্জ জানান মোদি। তিনি বলেন, “দ্বিতীয়ত আমি চ্যালেঞ্জ করছি, কংগ্রেস পার্টি একটা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলুক, ক্ষমতায় এলে তারা ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনবে। ওরা সংবিধান নিয়ে বড় বড় কথা বলে। বাবাসাহেব আম্বেদকরের কথা বলে। আমাদের গালিগালাজ করে। কিন্তু বাবাসাহেব আম্বেদকরের সংবিধান গোটা দেশে লাগু ছিল না। গত ৭০ বছর ধরে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতীয় সংবিধানের আওতার বাইরে ছিল। সেখানে দলিতরা প্রথমবার (৩৭০ ধারা রদের পর) সংরক্ষণের সুবিধা পাচ্ছে। বাল্মীকি সম্প্রদায় প্রথমবার সংরক্ষণের সুবিধা পাচ্ছে। কীসের এত কথা বলছে ওরা? ওদের কি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলার সাহস আছে, “আমরা ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনব? কোনও দল কি এমন সাহস দেখাতে পারে”?

আরও পড়ুন : ‘আমাকেই সত্যটা সামনে আনতে হল…’ কংগ্রেসের ইস্তেহার নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

২০২৪ সালের মার্চ মাসে সিএএ কার্যকর করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান এবং পার্সি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়াই এই বিলের উদ্দেশ্য। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় ইস্তেহারে সিএএ লাগুর ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু এই বিলে মুসলিমদের বাদ দেওয়ায় মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বিরোধীরা। যদিও সরকার বলছে, এই আইন মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয় বা এই আইনে কোনও মুসলিমের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হবে না। এর আগে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছিল, অসমে এনআরসি-তে যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে তাঁরা সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেতে পারেন।

এরপর ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের বিলে স্বাক্ষর করেন। ধারা ৩৭০-এর বলেই জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা পেয়েছিল। এর অর্থ হল, জম্মু ও কাশ্মীরে আর পৃথক সংবিধান কার্যকর থাকবে না। এবং কেন্দ্রীয় সরকার নতুন করে রাজ্যের বিন্যাস করার ক্ষমতা অর্জন করে। জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে কেন্দ্র। সেখানকার রাজ্যপাল হন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।

2024-04-29T08:56:43Z dg43tfdfdgfd