আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। টালা থানার সিসি ক্যামেরা থেকে ফুটেজ হাতে পেল সিবিআই। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইলের ফরেনসিক রিপোর্টও হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। সিবিআই সূত্রে খবর, সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হাতে এসেছে। তাতে সন্দীপ–অভিজিৎকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা দরকার। তাই আবার নিজেদের হেফাজতে চায় সিবিআই। সোমবার শিয়ালদা আদালতে আবেদন করেছে তারা বলে সূত্রের খবর।
এদিকে সন্দীপ ঘোষকে আগে বেশ কয়েকবার সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তার পর আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এমনকী পরে ধর্ষণ–খুনের মামলাতেও ১৫ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আর টালা থানার ওসি (প্রাক্তন) অভিজিৎ মণ্ডলকে ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার মতো গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়। গ্রেফতার করার পর ১১ দিন ধরে দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করেন সিবিআই অফিসাররা। তার পর তাঁদের নিজেদের হেফাজতে রাখতে চায়নি সিবিআই। জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। এখন আবার এই দু’জনকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আসতে চান গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: প্রমাণ দিতে পারলেন না তদন্তকারীরা, নির্মল মাজিকে ‘ক্লিনচিট’ দিল এমপি–এমএলএ আদালত
অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে, এমন কী তথ্য হাতে এল? নিজেদের হেফাজতে নিতে হবে কেন? তাহলে কি এই রহস্যের পর্দাফাঁস হতে চলেছে? মোবাইলের ডেটা সংগ্রহ করার পর সিবিআই সূত্রে খবর, এবার এমন কিছু তথ্য হাতে এসেছে যা সামনে আসলে তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড় আসবে। তাই সন্দীপ–অভিজিৎ দু’জনকে তিনদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায় সিবিআই। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী, ধৃতকে ১৫ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারে সিবিআই। সন্দীপ–অভিজিতের আরও চারদিন সিবিআই হেফাজত বাকি। তার মধ্যেই তিনদিনের হেফাজত চায় তাঁরা।
এমন কী তথ্য হাতে এল যে তড়িঘড়ি হেফাজতে নিতে হবে সন্দীপ–অভিজিৎকে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে সিনিয়র চিকিৎসক, সাধারণ মানুষ এখন এই প্রশ্নের উত্তর চায়। সন্দীপ ঘোষ অত্যন্ত প্রভাবশালী বলে মনে করেন সিবিআই। তাই কোনও পথ ছাড়তে নারাজ তাঁরা। এখন সন্দীপ এবং অভিজিৎ কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তার ভিত্তিতে যে রিপোর্ট তৈরি হবে সেটা আদালতে জমা দেওয়া হবে। আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে চলছে শুনানি।
2024-09-30T10:46:11Z dg43tfdfdgfd