ALIPURDUAR NEWS : মাকে হত্যা করে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ, গ্রেফতার ছেলে

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জের। মাকে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটায়। মৃত মহিলার নাম মায়া চট্টোপাধ্যায়ের(৬৫)। অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করেছে ফালাকাটা থানার পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিল ছেলে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

জমি বিক্রির বাঁটোয়ারার টাকা ও পারিবারিক বিবাদের জেরে নিজের মাকে খুন করে শৌচালয়ের সেফটি ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। দেহ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধেই। ঘটনা আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মিলরোড এলাকায়। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ছেলে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে মায়া চট্টোপাধ্যায়ের নিথর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

বিষয়টি জানাজানি হতেই প্রচণ্ড চাঞ্চল্য তৈরি হয় ফালাকাটা শহর জুড়ে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, হালে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে একটি জমি বিক্রি করা হয়েছিল। অভিযোগ, ওই জমি বিক্রির টাকার ভাগ পাওয়া নিয়ে মা ও ছেলের মধ্যে বচসা লেগেই থাকতো। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফালাকাটা থানার পুলিশ।

স্থানীয় দুই কাউন্সিলর মনোজ সাহা বলেন, "এনাদের জমি সংক্রান্ত একটি সমস্যা ছিল মাস খানেক আগে শুনেছিল। সেই সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে শুনতাম মা ও ছেলের মধ্যে নিত্যদিন ঝামেলা লেগেই থাকত।" মা ও ছেলের মধ্যেকার নিত্য দিনের ঝামেলার কথা স্থানীয় বাসিন্দারাও জানতেন।

বিষয়টি নিয়ে ফালাকাটা থানার আইসি সমিত তালুকদার বলেন, "আমরা একটা দেহ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।" স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই নিজের মাকে সমস্ত সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল ছেলে। একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত।

এরপর নিজের স্ত্রীয়ের সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়। নিজের মাকে হত্যা করে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নিজের তিন মেয়েকে এরপর অভিযুক্ত ছেলে আত্মীয়ের বাড়িয়ে রেখে আসে। তিন মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে বিষয়টি এক আত্মীয়কে বলে ফেলে। সেই আত্মীয় ঘাবড়ে গিয়ে বিষয়টি জানায় পুলিশকে। এরপরেই পুলিশ বিষয়টির তদন্তে নামে। তদন্তে নেমে ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এরপরেও দেহ উদ্ধার করা হয় সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে।

2023-06-10T18:04:26Z dg43tfdfdgfd