DILIP GHOSH: মজলিশি ঢংয়ে শুরু করে মেজাজ হারাচ্ছেন দিলীপ

এই সময়, বর্ধমান: হালকা মেজাজে, মজলিশি ঢংয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু দিন এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি কি অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছেন? গত কয়েকদিনে মেজাজ হারাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, হুমকি হম্বিতম্বি করে তিনি আসলে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির দুর্বল সংগঠনকে চাঙা করতে চাইছেন।

রবিবার সকালে বর্ধমানের হটুদেওয়ান দুর্গামন্দিরে চা চক্রে দুর্গাপুরের একটি ঘটনার প্রসঙ্গ ওঠে। সেখানে শনিবার রাতে স্টিল টাউনশিপে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে বাধে। সেই প্রসঙ্গে হুঙ্কারের সুরে দিলীপ বলেন, ‘শুনুন আমাদের উপরে হামলা হলে, আমরা হামলা করেই উত্তর দেব। এটা পরিষ্কার করে বলছে দিলীপ ঘোষ। অন্য কে কী বলবে আমি জানি না কিন্তু, আমি এসে গিয়েছি। চোখ দেখালে আমরা চোখ দেখাব। লাঠি দেখালে লাঠি দেখাব। হামলার বদলে হামলা হবে।’ বর্ধমানের পরে দুর্গাপুরেও তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয়েছে।

সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘১৩ তারিখ অবধি যদি ওরা (তৃণমূল) ভালো ভাবে না থাকে, আমি তো থাকব পাঁচ বছর। তার পরে হিসাব-কিতাব হবে। ওদের প্রার্থীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওদের কোনও নেতা আসছে না। পার্টি অফিসের সামনে গো-ব্যাক বলছে। আরে দম আছে তো রোদে বেরিয়ে দেখাক। সে দম নেই। গায়ে তেল হয়েছে। বিজেপি এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বে না। সেজন্য ওরা যেন সাবধানে থাকে।’ দিলীপের মন্তব্যের প্রতিবাদে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘ওঁর মুখে তো মারব, দেখে নেব, জ্বালিয়ে দেবো ছাড়া ভাষা নেই। উনি তো এসবেই অভ্যস্ত। যে দলে আছেন সেই দলের এটাই সংস্কৃতি। জোর করে সব কিছু দখল করার চেষ্টা করছেন। তবে কোনও লাভ হবে না।’

সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের ছবি দেওয়া হাতপাখা এলাকার ভোটারদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে। যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকেছে সিপিএম। সে প্রসঙ্গে বিদ্রুপের হাসি হেসে দিলীপ বলেন, ‘ওরা তো হাওয়াও পাচ্ছে না, অক্সিজেনও নেই। কী অভিযোগ করবে। আমি চকলেট খাওয়াব, পাখা দেবো। তাদের কষ্ট হচ্ছে।’ যোগ করছেন, ‘ওরা তো কিছুই দেয়নি। খালি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি গল্প আর হিংসা দুর্নীতি ওরাই এনেছে বাংলায়।’

চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাকে চিঠি দিক। আমি পোস্টার লাগাচ্ছি, হ্যান্ডবিল দিচ্ছি, বাড়ি বাড়ি ক্যালেন্ডার বিলি করব। সিপিএম অভিযোগ নিয়েই বসে থাকুক। ওদের ভোট করতে হবে না।’ এর প্রতিক্রিয়ায় সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এটাই বিজেপির কালচার। পেট্রোপণ্যের দাম, বেকারত্বের হার নিয়ে এদের কোনও দিশা নেই। যত আছে শুধু দখলদারি, মারামারি করতে।’

এই ধরনের আরও খবর জানতে এই সময়ে আসুন। লেটেস্ট নিউজ, শহরের তাজা খবর, দেশের খবর, ব্যবসার খবর, খেলার আপডেট, দৈনিক রাশিফল এবং লাইফস্টাইলের টিপস জানুন। আর ভিডিয়োর জন্য রয়েছে TimesXP

2024-04-29T08:20:58Z dg43tfdfdgfd