KMC ON HEATWAVE: ৪৪ বছরের রেকর্ড তাপমাত্রা, কর্মীদের স্বার্থে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার

গ্রীষ্মের দহনে জ্বলছে রাজ্যের একাধিক জেলা। হাঁসফাঁস গরমে তীব্র অস্বস্তিতে বঙ্গবাসী। সকাল থেকে যেমন থাকছে সূর্যের চোখ রাঙানি আবার বেলা বাড়তেই সূচ ফোটাচ্ছে রোদ। গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা রয়েছে ৪১ ডিগ্রি উপরে রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে এবার। সূর্যের প্রখর রোদে কার্যত বাইরে বেরোনোর উপায় নেই। তবে এই রোদে হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনা প্রবল। এই অবস্থায় তীব্র গরমে কর্মীদের কীভাবে কাজ করতে হবে? তা নিয়ে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে একাধিক নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুরসভা।

আরও পড়ুনঃ তাপপ্রবাহে সাধারণ কামরার যাত্রীরা এসি কোচ দখল করছেন, কড়া পদক্ষেপ করল রেল

পুরসভার অনেক কর্মী রয়েছেন যাদের নিকাশীনালার কাজ থেকে শুরু করে টিকা দেওয়া, বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করা, মশার লার্ভা মারার কাজ করে থাকেন। পুরসভার বড় অংশের কর্মীকে প্রতিদিন ফিল্ড ওয়ার্কের জন্য রাস্তায় বের হতে হয়।  ফলে তারা যাতে কোনওভাবেই অসুস্থ না হয়ে পড়েন তার জন্য কলকাতা পুরসভার তরফে এই বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, আউটডোর স্টাফ বা ফিল্ড ওয়ার্কারদের সঙ্গে জলের বোতল এবং ওআরএসের প্যাকেট রাখতে হবে। কোনও কর্মী কাজ করার সময় অসুস্থতা বোধ করলে দ্রুত ছায়া আছে এমন জায়গায় গিয়ে বসতে হবে অথবা বিশ্রাম নিতে হবে। অসুস্থ থাকলে কোনওভাবেই কাজ করা যাবে না। কারণ সেক্ষেত্রে বড় বিপদ ঘটতে পারে। এছাড়াও কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য অন্য কোনও তাকে হাসপাতালে বা প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।

এর পাশাপাশি কর্মীদের সানগ্লাস পড়ে এবং ছাতা নিয়ে এলাকায় ঘোরার পরামর্শ জারি করেছে কলকাতা পুরসভা। দুপুরের রোদ এড়ানোর জন্য সকাল সকাল কাজ শুরু করতে হবে এবং বেলা ১২ টার মধ্যে কাজ সেরে ফেলতে বলা হয়েছে। হিটস্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচার জন্য দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। 

এ বিষয়ে কলকাতা পুরসভার এক চিকিৎসক জানান, তাপপ্রবাহ চলছে তাই রাস্তায় বেরিয়ে যাতে কোনও ফিল্ড কর্মী অসুস্থ না হয়ে পড়েন তার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে শুধু পুর কর্মীদেরই নয়, এই তীব্র গরমে সকলকেই এমন পরামর্শ মেনে চলা উচিত।

2024-04-26T11:29:09Z dg43tfdfdgfd