গরুর পিছনে ছুটলেন পুরপ্রধান, আলিপুরদুয়ারের রাস্তায় এমন দৃশ্য দেখে হতবাক মানুষজন

ব্যস্ত রাস্তায় গরুর পিছনে ছুটছেন খোদ পুরপ্রধান। এমন দৃশ্য কল্পনীয় মনে হলেও তা ঘটেছে বাস্তবে। ঠিক দু’‌দিন আগে বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার শহরের ব্যস্ত রাস্তায় এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন এলাকাবাসী। সবাই দেখলেন রাস্তায় গরু আগে ছুটছে, আর তার পিছনে ছুটছেন পুরপ্রধান। এমনকী কলেজ হল্ট লাগোয়া সরকারি আবাসনের সামনে ছুটে গিয়ে একটি গরু ধরে ফেলেন। হ্যাঁ, তিনি পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ কর। গলায় দড়ি বেঁধে সেই গরুকে বাগে আনেন পুরপ্রধান এবং কয়েকজন পুরকর্মী। কিন্তু হঠাৎ দড়িতে হ্যাঁচকা টান মেরে সেই গরু আবার দৌড় মারে। আবার তার পিছনে ছুটতে থাকেন পুরপ্রধান।

এই দৃশ্য দেখে শহরের বেশকিছু বাসিন্দা মুখ টিপে হাসতে শুরু করেন। আবার একাংশ মানুষের বক্তব্য, শহরের রাস্তায় যখন–তখন গরু চড়ে বেড়ায়। আর তাতে চলাফেরা থেকে শুরু করে যানবাহন যাতায়াত করতে অসুবিধার মধ্যে পড়ে। সেখানে পুরপ্রধানের এমন পদক্ষেপ একেবারে সঠিক। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। আর পুরসভার এই কর্মসূচি ঘিরে পুরপ্রধান ও পুরপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। এই বিষয়ে পুরসভার অফিসাররা জানান, শহরের রাস্তাকে ‘গরু মুক্ত’ করতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। আর তা এখন থেকে লাগাতার চলবে।

আরও পড়ুন:‌ রণক্ষেত্র বাংলাদেশ নিয়ে সতর্ক নবান্ন, নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ

গরু রাস্তায় এমনভাবে চলতে থাকলে মানুষের ব্যাপক অসুবিধা হয়। আলিপুরদুয়ার শহরের রাস্তায় গরু চড়ে বেড়ানোয় এমন নানা অসুবিধার কথা তুলে ধরে পুরসভায় জমা করা হয়। তার পরই সবাই নড়েচড়ে বসে। আলিপুরদুয়ার শহরের বক্সা ফিডার রোড থেকে শুরু করে নানা অলিগলিতে দিনে গরু চড়ে বেড়ায়। রাতেও বক্সা ফিডার রোডে বসে থাকা গরুর লম্বা লাইন দেখতে পাওয়া যায়। তার জেরে মাঝেমধ্যেই শহরের রাস্তায় পথ দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এই গরুর পিছনে ছোটার ঘটনা নিয়ে আলিপুরদুয়ারের পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ কর বলেন, ‘‌গৃহপালিত এই গবাদি পশু রাস্তায় ঘুরে বেড়ালে পথ দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই তা না করতে প্রচার করা হয়েছে। শহরকে ‘গরু মুক্ত’ করতেই অভিযান চলেছে।’‌

এবার বলাই মোড় এবং কলেজ হল্ট সংলগ্ন একটি সরকারি আবাসনের সামনে থেকে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কয়েকটি গরুকে ধরা হয়। রাতেও পুরকর্মীরা নানা এলাকায় অভিযান চালান। আলিপুরদুয়ার পুরসভার কর্তারা জানান, আপাতত ধরা পড়া গরুগুলি তাঁদের হেফাজতে রাখা থাকবে। একমাসের মধ্যে এই গরুগুলির মালিকানা কেউ দাবি না করলে তখন তা গরিব মানুষজনের মধ্যে বিলি করে দেওয়া হবে। আর যদি কেউ এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট গরুর মালিকানা দাবি করেন তাহলে গরু ফেরতের দেওয়ার আগে তাঁর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হবে।

2024-07-20T13:00:18Z dg43tfdfdgfd