‘‌লাল জামা পরাটা কে?’‌, ভরা আদালতে অর্পিতাকে দেখে মুহূর্তের প্রেম–পর্ব পার্থর

কত ভাল সময় কেটেছে আগে। আজ একসঙ্গে খারাপ সময় কাটাতে হচ্ছে। কিন্তু তার পরও অর্পিতাকে একচুলও ভোলেননি পার্থ। তাই তো আগে একবার অর্পিতাকে দেখে লাভ সাইন দেখিয়েছিলেন। আবার কখনও জেল থেকেই খোঁজ নিয়েছিলেন অর্পিতা কেমন আছে?‌ এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলায় শোনা গেল, লাল জামা পরাটা কে?‌ আজ, শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তখনই এই প্রশ্ন করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এজলাসে একপ্রান্তে ছিলেন অর্পিতা। অপরপ্রান্তে ছিলেন পার্থ। আর শুনানি চলাকালীন বারবার অর্পিতার দিকে তাকাতে দেখা যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

আর তাই প্রশ্ন করে বসলেন পার্থ, লাল জামা পরাটা কে? আজ, শুক্রবার লালচে রঙের সালোয়ার কামিজ, হলুদ ওড়না পরে আদালতে আসেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। যাঁকে দেখে মুখ ফেরাতে পারেননি পার্থ। অর্পিতা অবশ্য এমন চাহনি দেখে মাথা নীচু করে ছিলেন। আসলে লজ্জা লাগছিল তাঁর। তবে কে বা কোথা থেকে অর্পিতার বাড়িতে টাকা রেখেছিল সেটা নিয়ে এখনও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন অর্পিতা। মাঝে ওই টাকা পার্থর বলে জানিয়েছিলেন। পার্থ অবশ্য সে কথা অস্বীকার করেছিলেন। তবে আজ যেভাবে পার্থ তাকিয়ে ছিলেন তাতে অনেকে বলছেন, টাকা যারই হোক, অর্পিতা কিন্তু পার্থরই। এমন রসিকতাও শোনা গেল আদালতে।

আরও পড়ুন:‌ দেবাশিস ধরকে ঠাণ্ডা করতে উদ্যোগ নিল বিজেপি, আনা হল দলের রাজ্য কমিটিতে

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করেছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আর ফ্ল্যাট ভর্তি টাকার স্তূপ থাকায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও গ্রেফতার হন। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় ২ বছর। জেলের অন্ধকার কুঠুরিই এখন একমাত্র আশ্রয় দু’‌জনের। তার উপর জামিন মিলছে না। বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও তা খারিজ হয়ে যাচ্ছে। এতকিছুর পরও পার্থ ভুলতে পারেননি অর্পিতাকে। অপা বাড়িটি আজও খাঁ খাঁ করছে। তাই আজ অনেকদিন পর অর্পিতাকে দেখে চোখ ফেরাতে পারেননি পার্থ। বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর নামে যে অভিযোগই থাকুক, প্রেম করা কোনও আইনের বইতেই অপরাধ হিসাবে লেখা নেই।

তবে আজ যা ঘটেছে সেটা শুধুই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে। অর্পিতা শান্তই ছিলেন। আগেও ভাইরাল হয়েছিল পার্থ–অর্পিতার অনস্ক্রিন প্রেম। এটা বেশ কিছুদিন আগের কথা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী তাঁর মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে জমা দিচ্ছিলেন। আর তখনই আদালতের ভিতরের স্ক্রিনে দেখা যায় পার্থ–অর্পিতাকে। তখন স্ক্রিনেই চলল প্রকাশ্যে খুনসুটি। অর্পিতার দিকে লাভ সাইন দেখান পার্থ। তাতে মুচকি হাসেন অর্পিতা। আবার অর্পিতা দুষ্টুমি করে জিভ ভেঙান পার্থকে। হাসেন দু’‌জনেই। আর প্রাপ্তি এইটুকুই।

2024-05-03T11:26:43Z dg43tfdfdgfd