'স্কুলে কি বিজেপি, আরএসএস-এর লোকরা পড়াবে?' ২৬ হাজার চাকরি বাতিলে প্রশ্ন মমতার

ভাতার: প্রায় ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষক এবং শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে, তার বিরোধিতায় রাজ্য সরকার যতদূর সম্ভব আইনি লড়াই চালাবে বলে ফের জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ দিন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, এত শিক্ষকের একসঙ্গে চাকরি চলে গেলে স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন কীভাবে চলবে?

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ কোনও ছেলেমেয়ে আত্মহত্যা করলে দায়িত্ব নেবেন? চিন্তা করবেন না, সাধ্য মতো কেসটা লড়ব৷ যে শিক্ষক শিক্ষিকারা আট বছর ধরে চাকরি করতেন তাঁদের সামাজিক সম্মান তৈরি হয়নি? স্কুলে এত মাস্টার কোথা থেকে আসবে? বাচ্চারা স্কুলে এসে বসে থাকবে? ওখানে বিজেপি, আরএসএস-এর লোকরা গিয়ে পড়াবে?’

একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রায়দান সম্পর্কে বলছি৷ বিচারপতির নাম বলছি না, প্রয়োজন পড়ে না৷ বলতে পারত, এখানে ভুল আছে সংশোধন করে দিন৷ সবটা তো আমি করি না৷ শিক্ষা দফতর, প্রাইমারি বোর্ড, মাধ্যমিক বোর্ড, এসএসসি, কলেজ সার্ভিস সব আলাদা আলাদা৷ একতরফা রায় দিয়ে একসঙ্গে ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিলেন৷ আর কী বললেন একমাসের মধ্যে 8 বছরের মাইনে সুদ সহ ফেরত দিতে হবে{ আপনার বাড়ির কেউ হলে বলতে পারতেন? আজ কোনও ছেলেমেয়ে আত্মহত্যা করলে দায়িত্ব নেবেন? চিন্তা করবেন না, সাধ্য মতো কেসটা লড়ব৷ যে শিক্ষক শিক্ষিকারা আট বছর ধরে চাকরি করতেন তাঁদের সামাজিক সম্মান তৈরি হয়নি? স্কুলে এত মাস্টার কোথা থেকে আসবে? বাচ্চারা স্কুলে এসে বসে থাকবে? ওখানে বিজেপি, আরএসএস-এর লোকরা গিয়ে পড়াবে?’ একসঙ্গে এত শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি যাওয়ার জন্যও এ দিন সরাসরি বিজেপির দিকেও আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷’

আরও পড়ুন: ‘অভিষেক-কে খুন করতে গিয়েছিল, বাড়ি পর্যন্ত রেকি করেছে’, প্রচার মঞ্চ থেকে বিস্ফোরক মমতা

গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে আরও বলা হয়, বেআইনি ভাবে যারা স্কুল শিক্ষক পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের চার সপ্তাহের মধ্যে ৮ বছর ধরে পাওয়া বেতনের টাকা ১২ শতাংশ সুদ সহ ফেরত দিতে হবে৷ এক মাসের মধ্যে কীভাবে চাকরি হারারা এই টাকা ফেরত দেবেন, তা নিয়েও এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরিহারাদের পাশেই রয়েছে রাজ্য সরকার৷ কারও নাম না করেই এ দিন  ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘বিজেপিতে গিয়ে দালালি করছিস কেন? পাছে সিবিআই, এনআইএ ধরে৷ সেদিন পুরুলিয়ার চাকরি কে বিক্রি করে দিয়েছিল?  নামটা আমি বলব না, আপনারা বুঝে নিন৷ সবথেকে বড় কুকর্মটা যে করেছে তার নাম বড় গদ্দার৷ কোর্ট কী রায় দেবে জানলি কী করে? দু দিন আগে বলে দিলি বিস্ফোরণ ঘটাবো? এতগুলো বাচ্চার জীবন কেড়ে নিয়ে নাচছিস, নেচে নেচে বেড়া৷’

2024-04-23T11:59:13Z dg43tfdfdgfd