সংযত হওয়ার সময় হয়নি?

ইজ়রায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে পরিস্থিতি চূড়ান্ত হতে পারে

আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে আবারও কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে দিয়ে সম্প্রতি ইরানের উপর সরাসরি আঘাত হানল ইজ়রায়েল। যদিও তেল আভিভ এখনও সরকারি ভাবে দায় স্বীকার করেনি। বিভিন্ন সূত্রের খবর, ইরানের সেনা ছাউনিকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। পরিণতিতে তেলের দাম বৃদ্ধি ও তার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা।

যদিও ইরান নিজে এমন কোনও হামলার কথা স্বীকার করেনি। হামলার ব্যাপকতাও তীব্র ছিল না। এই জল্পনাও রয়েছে যে, ইরানিয়ান ভূখণ্ড থেকেই ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল। সে কথা সত্যি হলে তার তাৎপর্য এই যে, তেল আভিভ প্রমাণ করতে চায় যে, ইরানের মধ্য থেকেই তার বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা চালানোর ক্ষমতা রয়েছে ইজ়রায়েলের।

যদিও ইজ়রায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী বেন গেভিরের মতো দক্ষিণপন্থী রাজনীতিকরা ইজ়রায়েলি হামলার ব্যাপকতার মাত্রা নিয়ে তেমন খুশি নন। নেতানিয়াহু সরকারের মধ্যে এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের। দক্ষিণপন্থী রাজনীতিকরা বার বার গাজ়া ও এখন ইরানে পরিস্থিতি চরম জায়গায় ঠেলে দেওয়ার কৌশল নিচ্ছেন। তেহরান প্যালেস্তাইনকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র বাহিনী পশ্চিম এশিয়ার নানা প্রান্তে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করছে।

ইজ়রায়েলের সঙ্গে এই লড়াইয়ে ইরানের বর্তমান কট্টরপন্থী সরকার কোনও ভাবেই নিজেদের মুখ পোড়ানোর মতো সিদ্ধান্ত নেবে না। ফলত, ঠান্ডা যুদ্ধ হোক বা সম্মুখ সমর, শেষ কথা বলার বাধ্যতা নিজের কাঁধেই নিয়ে নিয়েছে ইরান। এখনও পর্যন্ত ইজ়রায়েল বা ইরান দু’পক্ষই কোনও হামলা চালানোর আগে প্রতিপক্ষকে আগাম সতর্ক করেছে, যাতে দুই পক্ষই প্রস্তুতি নেওয়ার যথেষ্ট সময় পায়।

দু’তরফেরই পরস্পরের প্রতি হামলার মাত্রা এখনও তেমন বড় নয়। কিন্তু পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে পারে। যদি ইরানের সাম্প্রতিক মিসাইল হামলার ফলে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে ইজ়রায়েল, তা হলে পরিস্থিতি ঘুরতে সময় লাগবে না। এমনকী ইরানের পরমাণু কেন্দ্রতেও হামলা চালাতে পারে ইজ়রায়েল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তাতে। এ কথা অনস্বীকার্য যে, ইরান-ইজ়রায়েলের মধ্যে যুদ্ধ হলে দুই তরফেরই ক্ষতি। তার আঁচ এড়াতে পারবে না পশ্চিম এশিয়াও।

ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উপায় একটাই। গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলার মাত্রা কমানো ও ইরানের পক্ষ থেকে সশস্ত্র জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে আনা। রাজনৈতিক ও সামরিক বিষয়ে ইতিমধ্যেই ইজ়রায়েল ও ইরান রীতিমতো সক্রিয়। কিন্তু এই বার সময় এসেছে একটি আঘাতের পাল্টা আঘাত বন্ধ করার নীতি থেকে সরে আসার।

এই ধরনের আরও খবর জানতে এই সময়ে আসুন। লেটেস্ট নিউজ, শহরের তাজা খবর, দেশের খবর, ব্যবসার খবর, খেলার আপডেট, দৈনিক রাশিফল এবং লাইফস্টাইলের টিপস জানুন। আর ভিডিয়োর জন্য রয়েছে TimesXP

2024-04-21T14:28:47Z dg43tfdfdgfd