দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান! পুরুলিয়া আসছে 'জ্যাকি', সুরুলিয়া মিনি জু-তে এবার চিতাবাঘ

পুরুলিয়া: রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে জেলা পুরুলিয়া অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছে। এই জেলায় রয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। এই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। জেলা পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে সঙ্গে এই জেলার অন্যতম আকর্ষণ মিনি-জু।

পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে সুরুলিয়া ডিয়ার পার্কে গড়ে উঠেছে এই মিনি-জু। সারা বছরই এখানে বহু মানুষ ভিড় জমান। শুধু জেলা পুরুলিয়া নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান থেকেও অনেকেই এই জু-তে বেড়াতে আসেন। আর এবার এই সুরুলিয়া মিনি জু-তেই মিলবে চিতা বাঘের দর্শন। তার জন্য আর মাত্র কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন: দেশের সবথেকে দরিদ্র রাজ্য কোনটি জানেন? পশ্চিমবঙ্গের নাম কত নম্বরে রয়েছে বলুন তো! এক নজরে তালিকা

এই সুরুলিয়া মিনি জু-তে আরও বেশি করে পর্যটক টানতেই বেঙ্গল সাফারি থেকে চিতাবাঘ জ্যাকিকে নিয়ে আসছে কংসাবতী উত্তর বনবিভাগ। চিতাবাঘ নিয়ে আসার বিষয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকি জু-তে জ্যাকিকে রাখার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র সবুজ সংকেতের অপেক্ষা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এই মুহূর্তে দিতে চাইছে না কংসাবতী উত্তর বনবিভাগ। কারণ পুরুলিয়া মিনি জু-তে চিতাবাঘের অপেক্ষা দীর্ঘদিনের। তাই তো একেবারেই নির্ঝঞ্ঝাটে শিলিগুড়ির সালুগাড়ার বেঙ্গল সাফারি থেকে জ্যাকিকে নিয়ে আসাই অন্যতম লক্ষ্য পুরুলিয়া মিনি জু কর্তৃপক্ষের।

ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী ঘুরে গিয়েছেন সুরুলিয়া মিনি-জু। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ”সুরুলিয়া মিনি জু-তে চিতাবাঘ খুব শীঘ্রই আসবে। সমস্ত কিছু চূড়ান্ত করতে একটু সময় লাগছে। কিন্তু খুব বেশি দিন আর অপেক্ষা করতে হবে না। এই চিড়িয়াখানার শোভা বাড়াতে চিতাবাঘ দ্রুত নিয়ে আসা হবে।”

সুরুলিয়া মিনি জু-তে চিতা বাঘের জন্য এনক্লোজার বহুদিন আগেই তৈরি ছিল। কিন্তু চিতা বাঘ না থাকার কারণে সেই এনক্লোজারে ঝোপঝাড় তৈরি হয়ে যায়। সেই এনক্লোজার কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে চিতাবাঘের থাকার উপযোগী করার জন্য। এনক্লোজারের মধ্যেই রয়েছে চিতাবাঘের জলকেলির জন্য ওয়ালো পুল। সেই সঙ্গে জল খাওয়ার ব্যবস্থা। দু’টি আচ্ছাদন। চিতাবাঘ মগডালে বসে তাই কৃত্রিমভাবে গাছের ডালও তৈরি করা হয়েছে। এই চিতা বাঘ বা লেপার্ড দর্শনে দর্শকদের যাতে কোনও রকম ঝুঁকি না হয়, তাই দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এনক্লোজারের জাল। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ে বৈদ্যুতিক তারের ফেন্সিং। এনক্লোজারের ভেতরেই রয়েছে ক্রল, চিকিৎসার জন্য স্কুইজ কেজ। এছাড়া চারটি নাইট সেল্টার। পুরুষ চিতা বাঘ ‘জ্যাকি’-র যাতে নতুন পরিবেশে মন খারাপ না হয় তাই আগামী দিনে তার সঙ্গীকেও নিয়ে আসা হবে। জ্যাকির আগমনের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এবার পুরুলিয়ার মানুষেরাও চিতা বাঘ দেখতে পারবে সামনে থেকে।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

2024-04-27T12:19:24Z dg43tfdfdgfd