দেশের কোন রাজ্যে একটাও কুকুর নেই জানেন? কোন রাজ্যে সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি..
কুকুর আমাদের অনেকের কাছেই অত্যন্ত প্রিয় একটা প্রাণী৷ এই মানুষই প্রাচীন কালে প্রথম বন্য কুকুরকে প্রথম পোষ মানায়৷ তারপর বাকিটা ইতিহাস৷ সভ্যতার শুরু থেকেই কুকুর মানব জাতির বন্ধু৷ কিন্তু, বিষয়টা সকলের কাছে ঠিক একই রকম নয়৷ আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে, যাঁরা কুকুরকে অত্যন্ত ভয় পায়৷ কুকুর দেখলেই তাঁদের হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে৷ এমনটা হওয়ার কারণও রয়েছে৷ কুকুরের কোনটা পছন্দ হবে কোনটা নয়, কোন কথায় তারা ক্ষেপে উঠবে, কখন তারা আক্রমণ করবে, এসব সময়মতো ঠিক আন্দাজ করে উঠতে পারেন না অনেকেই৷ তার উপরে এই ভয়ের জন্য অনেকাংশেই দায়ী থাকে পথকুকুরেরা৷ রাস্তাঘাটে পাড়ায় পাড়ায় যে সমস্ত কুকুর থাকে তার যেমন উপযোগিতা রয়েছে, তেমনই রয়েছে ভয়ও৷ অনেক সময়ই দেখা যায়, চেনা পাড়ায় চোর ঢুকলে, বা কোনও দুষ্কৃতী এলে কুকুররা সমস্বরে চিৎকার করে ওঠে৷ তাড়া করে৷ কোনও পাড়ায় এক দঙ্গল পথ কুকুর থাকা খারাপের চেয়ে উপকারই করে বেশি৷ কিন্তু, তেমনই দেখা যায় বিপরীত চিত্র৷ কুকুরেরা অনেক সময়ই বেপাড়ার কারও মোটর বাইক বা সাইকেল আরোহীকে কারণে অকারণে তাড়া করে৷ এর জেরে দুর্ঘটনাও ঘটে অনেক৷ পথকুকুরের হাতে আক্রান্ত হওয়ার মতো ঘটনার পরিসংখ্যানও নেহাত কম নয়৷ জানা গিয়েছে, পৃথিবীতে একমাত্র নেদারল্যান্ডসই এমন একটা দেশ, যে দেশে এখনও পর্যন্ত একটাও পথকুকুর নেই৷ সে দেশের প্রশাসন এ বিষয়ে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে৷ দেখে মনে না হলেও আমাদের দেশেও রাজ্যে রাজ্যে কমেছে পথকুকুরদের সংখ্যা৷ সম্প্রতি সামনে এসেছিল এই সংক্রান্ত একটি পরিসংখ্যান৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেখা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে রয়েছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কুকুর৷ এই রাজ্যে পথকুকুরের সংখ্যা ৪১ লক্ষ ৭৯ হাজার ২৪৫৷ তারপরেই কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, কেরল, রাজস্থানের নাম৷ গুজরাতেও পথ কুকুরের সংখ্যা বেশ বেশি৷ পশ্চিমবঙ্গে পথকুকুরের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৪০ হাজার ১৬৫৷ হরিয়ানা, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মেঘালয়েও কুকুরের সংখ্যা উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কেরলের চেয়ে কম হলেও রয়েছে পথ কুকুর৷ মেঘালয়ে পথকুকুরের সংখ্যা ১০ হাজার ৬৫৩ র মতো৷ তবে এই সব রাজ্যের পাশাপাশি এমন রাজ্যও রয়েছে, যে রাজ্যে কোনও পথকুকুর নেই৷ মিজোরামে কয়েকবছর আগেও ৬৯টা পথকুকুর পাওয়া গিয়েছিল৷ বর্তমানে ভারতের এই রাজ্যে পথকুকুরের সংখ্যা শূন্য৷ কুকুর নেই মণিপুরেও৷ এছাড়া, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে লাক্ষাদ্বীপ, দাদর-নগর হাভেলিতেও নেই একটিও পথকুকুর৷
2024-04-20T10:36:24Z
উধাও হয়ে গেল আস্ত ট্রেন!রহস্যময় সুড়ঙ্গে ঢুকতেই সাদা ধোঁয়া,১০৪ জনের খোঁজ নেই আর
বিশ্বের সবথেকে রহস্যময় স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম হল বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। আসলে এই অঞ্চলের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী কয়েকটি বিমান নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। সেই ঘটনা গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। কিন্তু আজ আমরা এমন একটি রেলপথের কথা বলব, যা একই রকম ভাবে রহস্যের উদ্রেক করেছে। আসলে ওই রেলপথ অতিক্রম করার সময় রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল আস্ত একটি নতুন ট্রেন। এমনকী ১০৪ জন আরোহীর মধ্যে খোঁজ নেই ১০২ জন আরোহীর। তবে ওই ট্রেনের দুই যাত্রীর বেঁচে যাওয়া যেন আজও রহস্যই হয়ে রয়েছে! ১৯১১ সালে ইতালির রাজধানী রোমের একটি স্টেশন থেকে রওনা হওয়া ট্রেন ‘জেনেটি’ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তবে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেই ট্রেনের সন্ধান করা হলেও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই ট্রেনের বেঁচে যাওয়া দুই যাত্রীর বক্তব্যের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা অনেক তদন্ত করলেও এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তাঁরা সফল হতে পারেননি। ওই যাত্রীদের মধ্যে একজন জানান, ট্রেনটিকে একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে পরের স্টেশনে পৌঁছাতে হয়। কিন্তু সুড়ঙ্গে প্রবেশ করামাত্রই তা অদৃশ্য হয়ে যায়। কিন্তু কীভাবে বেঁচে গেলেন ওই দুই যাত্রী? আসলে ট্রেনটি রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার পর ট্রেনে ভ্রমণরত দুই যাত্রীকে সুড়ঙ্গের বাইরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। একজন যাত্রী এতটাই হতভম্ব হয়েছিলেন যে, তিনি কিছুই বলতে পারেননি। কিন্তু আর এক যাত্রী জানান, ট্রেনটি যখন সুড়ঙ্গের কাছে পৌঁছয়, তখন সেখান থেকে রহস্যময় ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এর পর দুই যাত্রীই ভয় পেয়ে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। তাঁদের বক্তব্য, ট্রেনটি সুড়ঙ্গের মধ্যে চলে গিয়েছিল এবং আর কখনওই বেরিয়ে আসেনি। ইতালির জেনেটি রেলওয়ে কোম্পানি ১৯১১ সালে একটি নতুন ট্রেন তৈরি করে। এর কোচ থেকে শুরু করে ইঞ্জিন সব কিছুই ছিল নতুন। এমনকী সংস্থাটি ট্রায়াল হিসাবে বিনামূল্যে ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। রেলকর্মী-সহ মোট ১০৪ জন যাত্রী ছিলেন। সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল ট্রেনটি। পরের স্টেশনে জেনিটি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। অথচ ট্রেন সেখানে পৌঁছয়ইনি। এরপর ওই ট্রেন নিয়ে সারা বিশ্বে নানা ধরনের গুজব ছড়াতে থাকে। কেউ কেউ বলেন, এই ট্রেন টাইম ট্রাভেল করে অন্য জগতে পৌঁছে গিয়েছে। আবার একই সময়ে কয়েক বছর পরে রাশিয়া, ইউক্রেন এবং জার্মানিতে এই ট্রেনের কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন অনেকে। যদিও এই সংক্রান্ত কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি। আবার ট্রেনটি মেক্সিকোয় ছিল বলেও দাবি করেছেন বেশ কয়েকজন। কারও কারও দাবি, ট্রেনটি তার সময়ের ৭১ বছর পিছিয়ে গিয়েছে। কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সুড়ঙ্গে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া ট্রেনটি ১৮৪০ সালে মেক্সিকোয় পৌঁছেছিল। সেই কারণে অনেকেই এই ট্রেনটিকে ভূতুড়ে ট্রেন বলেও আখ্যা দিয়েছেন। মেক্সিকোর এক চিকিৎসকের দাবি, ১০৪ জনকে রহস্যজনক ভাবে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সকলেই পাগল হয়ে গিয়েছিল। এক মহিলা দাবি করেছিলেন যে, তাঁরা সকলে ট্রেনে চেপেই হাসপাতালে পৌঁছেছেন। পরে অবশ্য ওই টানেলটিকে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
2024-04-24T08:18:16Z