টিকিট না কেটেই ট্রেনে উঠেছেন?কোনও শাস্তিই পাবেন না!শুধু একটি কাজ করলেই নিশ্চিন্ত
বিশ্বের বৃহত্তম রেল পরিষেবা হল ভারতীয় রেলওয়ের। প্রতিদিন আড়াই কোটি মানুষ লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াত করেন। ট্রেনে সফরের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে টিকিট কাটতেই হয়। তবে তাড়াহুড়োয় বা অন্য কোনও কারণে যদি টিকিট না কেটেই ট্রেনে ওঠেন, তবে ধরা পড়লে মোটা টাকার জরিমানা দিতে হয়।শুধু জরিমানাই নয়, এমনকী যে যাত্রী টিকিট কেটে যাত্রা করেন না, তাঁর জেলও হতে পারে। তবে আপনি যদি টিকিট না কেটেও ট্রেনে উঠে রেলের এই নিয়ম মানেন, তবে কোনও জরিমানা বা শাস্তিই পেতে হবে না আপনাকে।ন্যাশনাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর তরফে ভারতীয় রেলওয়ের বিশেষ কিছু নিয়ম এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়। ট্রেনে ভ্রমণের সময় এই নিয়মগুলি মানলে, বিনা টিকিটে যাত্রা করলেও কোনও সমস্য়ায় পড়তে হবে না যাত্রীকে। কী সেই নিয়ম? যদি বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠে পড়েন, তবে ট্রেনের ভিতর থেকেই আপনি টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। এর জন্য প্রথমেই টিকিট পরীক্ষক বা টিটিই-র সঙ্গে কাছে গিয়ে আপনার পরিস্থিতির কথা জানান। টিটিই-র কাছেও একটি মেশিন থাকে, সেখান থেকেই আপনাকে টিকিট দিয়ে দেবেন টিটিই। এক্ষেত্রে আপনাকে টিকিটের মূল্যের সঙ্গে অতিরিক্ত ২৫০ টাকা জরিমানা বাবদ দিতে হবে। টিটিই-র কাছে থাকা এই মেশিনের সঙ্গে রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেমের সার্ভারের যুক্ত থাকে। প্যাসেঞ্জার যখনই টিকিট কাটেন, তখনই রেলের সার্ভারে তা বৈধ টিকিট হিসাবে ইস্যু হয়ে যায়। কোনও সিট ফাঁকা রয়েছে কিনা, তাও দেখা যায় এই মেশিনে। সেক্ষেত্রে আপনাকে সিটও পেয়ে যেতে পারেন পারেন আপনি। যদি কোনও যাত্রীর নাম ওয়েটিং লিস্টে থাকে, তবে তিনি টিটিই-র কাছে গিয়ে সেই টিকিট দেখিয়ে কনফার্ম করে নিতে পারেন।
2024-05-01T07:45:44Z
বাসে ট্রেনে সবুজ মটর কিনে খান? মটরশুঁটি নয় কিন্তু, আসলে কী জানলে শিউরে উঠবেন
কলকাতা: বাসে অথবা ট্রেনে যাতায়াতের সময় হকারদের থেকে সবুজ মটর কিনে খান অনেকেই৷ খাওয়ার সময় অনেকেই হয়তো ভাবেন, মটরশুঁটি ভাজাই খাচ্ছেন তাঁরা৷ কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন আসলে কী খাচ্ছেন? একটু খোঁজ খবর করতেই যা জানা গেল, সেই তথ্য রীতিমতো শিউড়়ে ওঠার মতোই৷ শিয়ালদহ বৈঠকখানা মার্কেটের এক দোকানদার রাখঢাক না করেই বললেন, ‘এত সবুজ মটর পাওয়া যাবে কোথায়? এসব কারিগররা মটরের সঙ্গে রং দিয়ে সবুজ মটর বানিয়ে আমাদেরকে দিয়ে যায়।আমরা বিক্রি করি।’ তবে কোথায় সবুজ মটর ভাজা তৈরি হয় তা তিনি জানেন না বলেই দাবি ওই ব্যবসায়ীর। সবুজ মটর সারাদিনে কত বিক্রি হয়? শিয়ালদহ শাখার ট্রেনের এক হকারের বক্তব্য , -সারাদিনে তিনি ফেরি করে চার থেকে পাঁচ কেজি সবুজ মটর বিক্রি করেন। ৫ টাকা এবং ১০ টাকার প্যাকেটে করেই সাধারণত এই ধরনের সবুজ মটর বিক্রি হয়। তার সঙ্গে বাদাম,ডালমুট ভাজা এসব তো রয়েছে। ওই হকারের বক্তব্য, প্রকৃত সবুজ মটরের রং এতটা গাঢ় হয় না। দামটা বরং একটু বেশি হয়।কারণ ওটা কাঁচা মটর শুঁটিকে শুকনো করে তৈরি করা হয়।আর এই মটরে রং করে পদ্ধতি অনুযায়ী সবুজ মটর তৈরি করে। যার ফলে হলুদ ভাজা মটরের থেকে এই সবুজ মটর দাঁতে দিলে সহজেই ভেঙে যায়। ধরা যাক, একজন হকার সারাদিনে যদি দু -কেজি পরিমাণে সবুজ মটর বিক্রি করেন, তাহলে ১০০ জন হকার ২০০ কেজি পরিমাণে সবুজ মটর বিক্রি করছেন। এর থেকেই আন্দাজ করা সম্ভব, কলকাতা এবং জেলাগুলিতে রং করা এমন সবুজ মটর প্রতিদিন কয়েকশোকেজি বিক্রি হচ্ছে! আর সেই মটর গুলিতে যে সবুজ রং মেশানো হয়, সেগুলি আসলে ফুড কালার নয়, বরং শিল্পে ব্যবহৃত রং বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কালার।আর সেই মটর বেশির ভাগ শিশুরাই খাচ্ছে। এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আসল সবুজ মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন,ফসফরাস,ফোলেট এবং ভিটামিন এ ,কে এবং সি রয়েছে। এর প্রোটিন মানুষের দেহের ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে পেশী শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।রং করা মটর খেলে মানুষের পরিপাকে সমস্যা তৈরি হয়।পেট খারাপ হতে পারে।এই কৃত্রিম রং থেকে ক্যানসারের মতো মারণ রোগ হতে পারে।’
2024-05-01T15:16:57Z